স্থানীয় ইউপি সদস্য মোবারক হোসেন বলেন, ‘নিহত মো. জামাল (৪০) উপজেলার আজিজনগর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড হিমছড়ি এলাকার মৃত সৈয়দ হোসেনের ছেলে। স্ত্রীর সঙ্গে পারিবারিক বিরোধ ছিল জামালের। কিছুদিন আগে জামাল তার শশুরবাড়ি আমিরাবাদে গেলে তার স্ত্রী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন তার পুরুষত্ব নেই বলে অভিযোগ তোলেন এবং বিয়ের সময় দেওয়া ৫০ হাজার টাকা ফেরত চান।’
দিনমজুর জামালকে শশুর বাড়িতে সামাজিক ভাবে বিচার বসিয়ে অপমান করা এবং টাকা ফেরত দেওয়ার সমর্থ না থাকায় অপমানে বন্দুক দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন ধারণা করা হচ্ছে বলেও জানান ইউপি সদস্য।
লামা থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক তমেজ উদ্দিন বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা লামা সদর থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে আজিজনগর হিমছড়ি এলাকায় এসে লাশটি উদ্ধার করি। লাশটির প্রাথমিক সুরতাহাল রিপোর্ট করা হয়েছে। নিহতের বুকে বারুদের আগুনে পুড়ে যাওয়ার চিহ্ন রয়েছে।’
লাশ উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করা লামা থানা অফিসার ইনচার্জ আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘ময়না তদন্তের জন্য লাশটি জেলা হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে। এছাড়া একই ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের হরিণমারা এলাকায় আরেক জনের কঙ্কাল পাওয়া গেছে। কিছুদিন আগে হরিণমারা এলাকায় আহমদ কবিরের ছেলে হারুণ-অর রশিদ হারিয়ে যায়। এই বিষয়ে লামা থানায় তার পরিবারের সদস্যদের পক্ষে একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। এই কঙ্কালটি হারুণ অর-রশিদের হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।’
/এসএমএ/