জানা গেছে, নিহত ওই ব্যবসায়ীর নাম জাকির হোসেন (৪২)। তিনি গাজীপুর সদর উপজেলার বাঘের বাজার এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। স্থানীয় বিভিন্ন পোশাক কারখানায় ঝুট ব্যবসা করতেন তিনি।
নিহতের ভাই নাসির উদ্দিন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘জাকির হোসেন সপরিবারে ঢাকার উত্তরায় থাকতেন। বাঘের বাজার এলাকার কয়েকটি পোশাক কারখানায় ঝুট ব্যবসা করতেন তিনি। ওই কারখানাগুলোকে দেওয়ার জন্যই তিনি ২৭ লাখ টাকা নিয়ে বের হন। দুর্ঘটনার খবর শুনে আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে তার মরদেহ পেলেও সঙ্গে থাকা টাকার কোনও হদিস পাইনি। ফলে এই দুর্ঘটনা নিয়ে আমাদের মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে।’
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে সালনা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হাই জানান, রাতে ওই ব্যবসায়ী একা একটি মাইক্রোবাস চালিয়ে ঢাকা থেকে বাঘের বাজারের দিকে যাচ্ছিলেন। অজ্ঞাত একটি যান তার মাইক্রোবাসটিকে ধাক্কা দিলে মাইক্রোবাসটি উল্টে সড়কের পাশে পড়ে যায়। শ্রীপুর ফায়ার সার্ভিসকে উদ্ধারের জন্য ডাকা হলে তারা এসে ব্যবসায়ীকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত ব্যবসায়ী জাকিরের কাছে থাকা টাকার বিষয়ে জানতে চাইলে ওসি আব্দুল হাই বলেন, ‘সালনা হাইওয়ে থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই জয়দেবপুর থানার হোতপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছেন। তাই এ বিষয়ে সালনা থানা পুলিশের কিছু জানা নেই।’
এদিকে, জয়দেবপুর থানার হোতাপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) নাজমুল হাসান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘নিহতের কাছে মোটা অঙ্কের টাকা থাকার ব্যাপারে আমরা কিছুই জানি না। হোতাপাড়া ফাঁড়ি পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই সালনা হাইওয়ে থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে।’
শ্রীপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার জিহাদ আবার বলেন, ‘পুলিশ কন্ট্রোল রুম থেকে বার্তা পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছাই। এর আগেই সালনা হাইওয়ে ও হোতাপাড়া ফাঁড়ি পুলিশ ভিকটিমকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। আমরা পৌঁছানোর আগেই ভিকটিম উদ্ধার হয়ে যাওয়ায় আমরা ফিরে আসি।’ ঘটনাস্থলে উপস্থিত নিহত ব্যবসায়ীর স্বজনরা টাকা-পয়সা পাচ্ছে না— এমন কথা শুনলেও এ বিষয়ে ফায়ার সার্ভিসের কাছে কোনও তথ্য নেই বলে জানান তিনি।
/জেবি/টিআর/