কুমিল্লা বোর্ডে ফল বিপর্যয়: ২০১ কলেজকে চিঠি

কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডএ বছরের এইচএসসি পরীক্ষায় কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের ফল বিপর্যয়ের কারণ অনুসন্ধানে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। শুধু তাই নয় ফল বিপর্যয়ের কারণ জানতে ২০১টি কলেজকে চিঠি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বোর্ড কর্তৃপক্ষ। কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান আবদুল খালেক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) বিকালে কুমিল্লা জেলা কলেজ পরিদর্শক মো. জামাল নাছেরকে আহ্বায়ক করে তদন্ত কমিটি গঠন করে কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড। কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন— কুমিল্লা জেলা উপ-কলেজ পরিদর্শক বিজন কুমার চক্রবর্তী ও উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. হাবিবুর রহমান। কমিটিকে ১৫ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
এ বছর কুমিল্লা বোর্ডের অধীন ছয় জেলার ৩৯০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে এক লাখ ৩৭২ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়, পাস করে ৪৯ হাজার ৭০৪ জন। গড় পাসের হার ৪৯.৫২ শতাংশ। মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) বোর্ড কর্তৃপক্ষ ফলাফল পর্যালোচনায় ৪৯.৫২ শতাংশের নীচে ফেল করা ২০১টি প্রতিষ্ঠানকে চিহ্নিত করেছে। এসব প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা কুমিল্লায় ৮৯টি, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ২৩টি, লক্ষ্মীপুরে ১৭টি, চাঁদপুরে ২৬টি, ফেনীতে ২২টি ও নোয়াখালীতে ২৪টি। এসব প্রতিষ্ঠানকেই দেওয়া হচ্ছে চিঠি। বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, এসব প্রতিষ্ঠানের ফল খারাপ হওয়ার কারণ এবং ভবিষ্যতে ফল ভালো করতে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের কাছ থেকে পরামর্শ চেয়ে ওই চিঠি দেওয়া হচ্ছে।
কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান আবদুল খালেক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘এ বছরে এইচএসসি পরীক্ষায় বোর্ডে পাসের হার ৪৯.৫২ শতাংশ। যেসব প্রতিষ্ঠান বোর্ডের গড় পাসের চেয়ে খারাপ করেছে, তাদের চিঠি দেওয়া হচ্ছে। চিঠিতে ফল খারাপ করার কারণ ও ভবিষ্যতে এ সমস্যা থেকে উত্তরণের পরামর্শ চাওয়া হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘এসব প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে পাওয়া পরামর্শ অনুযায়ী বোর্ড কর্তৃপক্ষ পদক্ষেপ নেবে।’ এসব প্রতিষ্ঠান প্রধানদের নিয়ে সভা করে বোর্ড শিক্ষার মানোন্নয়নে করণীয় নির্ধারণ করবে বলেও জানান তিনি।

আরও পড়ুন-

বৃহস্পতিবার সকালে চেন্নাই যাচ্ছেন সিদ্দিকুর

‘এক বছর পর গ্রামে লোড শেডিং থাকবে না’

বরিশালের সেই বিচারককে প্রত্যাহারের সুপারিশ

হাওরের বাঁধ রক্ষার দায়িত্ব স্থানীয়দের দেওয়ার সুপারিশ সংসদীয় কমিটির

/টিআর/