রাজশাহীতে ছাত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগে ধর্ষক কারাগারে

কারাগার

রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীকে (১২) ধর্ষণের অভিযোগে ধর্ষক জামরুল ইসলামকে (২৮) স্থানীয় জনতা গণধোলাই দিয়ে পুলিশে দিয়েছে। এরপর ধর্ষণের শিকার ছাত্রীর বাবা থানায় মামলা দায়ের করলে ধর্ষণের অভিযোগে আটককৃত জামরুলকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।  

মঙ্গলবার বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করে রাজশাহীর বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী মাহামুদ বলেন, গ্রামবাসীর হাতে আটক ধর্ষক অপরাধ স্বীকার করায় তাকে মঙ্গলবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। একই সঙ্গে ধর্ষণের শিকার ছাত্রীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) পাঠানে হয়েছে।

বাঘার থানার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে ওই ছাত্রী উপজেলার পাকুড়িয়া ইউনিয়নের মালিয়ানদাহ জামে মসজিদে বাংলাদেশ ইসলামি ফাউন্ডেশনের মসজিদ ভিত্তিক ধর্মীয় শিক্ষা শেষে বাড়ি ফিরছিল। এ সময় মালিয়ানদাহ গ্রামের বাবলু’র ছেলে জামরুল ইসলাম (২৮) ওই ছাত্রীকে মুখে গামছা বেঁধে রাস্তার পাশে পরিত্যাক্ত একটি ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করে। ঘটনার এক পর্যায় ওই ছাত্রী চিৎকার দিলে স্থানীয় যুবক সুমন হাসান, ইয়ারুর ও জামালসহ অনেকেই সেখানে উপস্থিত হয়। তারা ধর্ষক জামরুলকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে।

পাকুড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফকরুল হাসান বাবলু বলেন, জামরুল অত্যন্ত বাজে ও কু-রুচির ছেলে। এক বছর আগেও মানসিক প্রতিবন্ধী এক মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে তাকে নিয়ে গ্রাম্য সালিশ বসেছিল। সেই সালিশে তার বাবাকে জরিমানা গুনতে হয়েছিল।

/জেবি/

আরও পড়তে পারেন: গাইবান্ধায় আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ৫ সদস্য গ্রেফতার