শ্রীপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার জিহাদ হোসেন জানান, ‘বুধবার সকাল ৯টার দিকে মাওনা চৌরাস্তা হাইওয়ে পুলিশের এএসআই আব্দুল বাতেন আহত যুবকের খবর পাঠান। মাওনা চৌরাস্তা উড়াল সেতুর প্রাচীরঘেরা জায়গা থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। পরে তাকে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়।’
আহত আমজাদ হোসেনের বরাত দিয়ে জিহাদ হোসেন আরও জানান, ‘মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) সন্ধ্যায় তার (আমজাদ হোসেন) মা নাসিমা বেগম ও দুই খালু মিলে খুঁচিয়ে তার দুই চোখ উঠানোর চেষ্টা করে। এরপর থেকে তিনি আর চোখে দেখতে পাচ্ছেন না। পরে চিৎকার চেঁচামেচি করলে ওই রাতে তার মাসহ দুই খালু তাকে কোথায় যেন ফেলে যায়।’ কিন্তু কী কারণে তার চোখে আঘাত করা হয়েছে— সে ব্যাপারে আমজাদ কিছু জানায়নি। তিনি গাজীপুর সদর উপজেলার বাঘের বাজার এলাকার একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন বলে বাংলা ট্রিবিউনকে জানান।
শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার হুজ্জাতুল ইসলাম পলাশ জানান, ‘যুবকটির দুই চোখে যথেষ্ট খোঁচানো এবং আঘাত করা হয়েছে। আলামত দেখে বোঝা গেছে তার দুইটি চোখের অবস্থা খুবই খারাপ। শ্রীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হাফিজুর রহমানের তত্ত্বাবধানে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে (৪৪০ নম্বর বেড) ভর্তি করানো হয়েছে।’
শ্রীপুর থানার পরিদর্শক (অপারেশন) হেলাল উদ্দিন জানান, ‘তার গ্রামের বাড়িতে ওয়্যারলেস বার্তা পাঠানো হয়েছে। ঘটনাটি কোনও বিরোধ, শত্রুতা, নাকি অপরাধজনিত তা তদন্ত সাপেক্ষে বলা যাবে।’
/এনআই/