এ ছাড়া জেলার প্রায় দেড় হাজার হেক্টর জমির আমন ধানের বীজতলা পানির তলিয়ে গেছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে কয়েক লাখ মানুষ মানুষ। সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
গত কয়েকদিনের প্রবল বর্ষণে বাগেরহাট জেলার সদর উপজেলা, চিতলমারী, মোড়েলগঞ্জ, শরণখোলা, ফকিরহাট, মোল্লাহাট, কচুয়া ও রামপাল উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক জলাব্ধতা দেখা দিয়েছে। পানিবন্দি লাখো মানুষ ঘর থেকে বের হতে পারছেন না। গৃহপালিত পশু-পাখি নিয়ে বিপাকে পড়েছেন লোকজন। বর্ষণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে চিতলমারী উপজেলার মাছের ঘেরের।
জেলা মৎস্য অফিসের তথ্যমতে, বাগেরহাট জেলার ১০ হাজার ৬শ ৫০টি মাছের ঘের পানিতে ভেসে গেছে। যার আয়তন আট হাজার ৩০৭ হেক্টর। ক্ষতি হয়েছে ৫৫ কোটি সাত লাখ টাকার।
বাগেরহাট শহরতলীর হাড়িখালী এলাকার গৃহিনী কল্পনা বেগম বলেন, ‘ভৈরব নদীর জোয়ারের পানি ও প্রবল বৃষ্টিতে বসতবাড়ি তলিয়ে গেছে। নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় পানি নামতে পারছে না।’
বাগেরহাটের ভৈরব নদীর ভেড়িবাঁধ ভেঙ্গে বৃষ্ণুপুর ইউনিয়নের কোড়ামারা গ্রামসহ ১০ থেকে ১২টি গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এই এলকার মাছের ঘের, ফসলি জমি, বসতবাড়ির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুরুল হাফিজ জানান।
বাগেরহাট কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক আফতাব উদ্দিন বলেন, ‘গত এক সপ্তাহে বাগেরহাট জেলায় প্রায় তিনশ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। টানা বৃষ্টির পানিতে কৃষি জমির বীজতলা ও সবজি এবং পানের বরজ তলিয়ে গেছে। বাগেরহাটে প্রায় দেড় হাজার হেক্টর পানের বরজ ও আমন ধানের বীজতলা পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে।
বাগেরহাট জেলা মৎস্য কর্মকর্তা জিয়া হায়দার বলেন, ‘টানা বর্ষণ জোয়ারের পানিতে সদর উপজেলা ও চিতলমারিসহ বিভিন্ন এলাকার ১০ হাজার মৎস্য ঘের তলিয়ে গেছে। এতে প্রায় ৫০ থেকে ৬০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।’
/এসএমএ/