গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে জনসভা উপলক্ষে ইতোমধ্যে জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে পোস্টারিংসহ ব্যাপক প্রচারণা চালানো হয়েছে। নবগঠিত জেলা কমিটির আহ্বানে এই সমাবেশ বাস্তবায়ন করতে নেওয়া হয়েছে জোর প্রস্তুতি।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সারাদেশে একযোগে স্নাতকোত্তর শ্রেণির একাধিক বিষয়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘পরিবর্তিত কেন্দ্রে সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা সম্পন্ন করার জন্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অতিরিক্ত জনবলের একটি শিক্ষক টিমও পরীক্ষা কেন্দ্রে পাঠানো হবে।’
ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক জেরিনা সুলতানা বলেন, ‘জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলেই কেন্দ্র পরিবর্তন করা হয়েছে। শনিবার ওই কেন্দ্রে মোট ১৬ শ’ পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করার কথা ছিল ।’
তিনি আরও বলেন, ‘গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন সবুজের লিখিত আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজ মাঠে জনসভা করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।’
মহাজোটের শরিক দল গাজীপুর জেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক মন্ডল বাচ্চু বলেন, ‘হঠাৎ করে এ ধরনের সিদ্ধান্ত অনৈতিক, নিয়মবহির্ভুত এবং জাতির জন্য ক্ষতিকর। এ সিদ্ধান্ত কোনও পরীক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকেরা মেনে নিতে পারে না। তাছাড়া কর্তৃপক্ষ যদি কেন্দ্র পরিবর্তন করে থাকে তাহলে সেখানে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে কিনা এটা নিয়েও পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে দুশ্চিন্তা বিরাজ করবে। তাছাড়া পাবলিক পরীক্ষা কেন্দ্রের আশপাশে ১৪৪ ধারা জারি থাকে। সেটা কিভাবে বাস্তবায়ন করা হবে, তা চিন্তার বিষয়।’
গাজীপুর জেলা জাতীয় পার্টির (এরশাদ) সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম এম এ বলেন, ‘কেন্দ্র পরিবর্তনে শিক্ষার্থীদের খুব একটা সমস্যা হবে বলে মনে করছি না।’
সাবেক ছাত্রলীগ নেতা গাজীপুর জেলা জজ আদালতের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শফিকুল ইসলাম জানান, ‘জেলা আওয়ামী লীগ পরীক্ষা কেন্দ্রের মাঠে সমাবেশ ডেকে বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দেয়নি। যদিও পরীক্ষার ভেন্যু স্থানান্তর করা হয়েছে। যে কয়টি কলেজে ভেন্যু স্থানান্তর করা হয়েছে তাও সমাবেশস্থলের কাছাকাছি হওয়ায় সেখানেও সমাবেশের নানা ধরনের প্রভাব পড়বে। যা পরীক্ষার্থীদের জন্য বাড়তি সমস্যা হয়ে দাঁড়াবে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রাহেনুল ইসলাম বলেন, তিনি জনসভার বিষয়ে কিছুই জানেন না। এ ব্যাপারে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) এর সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন তিনি। তবে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) খন্দকার ইয়াসির আরেফিনকে ফোন করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
/এনআই/এপিএইচ/