আকস্মিক ভাঙনে সুগন্ধায় বিলীন ৩ বসতঘর, ঝুঁকিতে বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর সেতু

সুগন্ধা নদীর ভাঙনে হুমকিতে বসতবাড়ি ও বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর সেতু (ছবি- প্রতিনিধি)

আকস্মিক ভাঙনে বরিশালের বাবুগঞ্জের সুগন্ধা নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে তিনটি বসতঘর। বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) দিনগত রাতে উপজেলার দেহেরগতি ইউনিয়নের দক্ষিণ রাকুদিয়া এলাকার এ নদীতে ভাঙন শুরু হয়। এতে নদীর ওপরের বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সেতু  ধসে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এছাড়া ভাঙনের হুমকিতে পড়েছে ওই এলাকার আয়ুব আলী মাতুব্বর, মোশাররফ মাতুব্বর, আব্দুল মজিদ, আবুল বাশার হাওলাদার, মো. কালাম হাওলাদার ও আমির আলী হাওলাদারের বসতবাড়ি। শুক্রবার (২৮ জুলাই) সরেজমিনে গিয়ে এ চিত্র পাওয়া যায়।

স্থানীয়রা জানান, গত কয়েক দিনের টানা বর্ষণের সঙ্গে অমাবস্যায় সৃষ্ট জোয়ারে নদীর স্রোতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় এ ভাঙন শুরু হয়।

শুক্রবার সকালে ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন বাবুগঞ্জ-মুলাদী আসনের সংসদ সদস্য অ্যাড. শেখ মো. টিপু সুলতান, বাবুগঞ্জ উপজেলার চেয়ারম্যান সরদার মো. খালেদ হোসেন স্বপন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীপক কুমার রায়, দেহেরগতি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মশিউর রহমান।

এ ব্যাপারে এমপি শেখ মো. টিপু সুলতান বলেন, ‘ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছি। ভাঙনরোধে তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বলেছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরেই বাবুগঞ্জের সন্ধ্যা এবং সুগন্ধা নদীতে ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। তবে বৃহস্পতিবার দিনগত রাতে হঠাৎ করেই বাবুগঞ্জের দক্ষিণ রাকুদিয়া পয়েন্টে সুগন্ধা নদীর ভাঙন তীব্রতর হয়। এতে মুহূর্তের মধ্যে তিনটি ঘর নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। এ ঘটনায় মালামালের ক্ষতি হলেও কেউ হতাহত হয়নি।’

দেহেরগতী ইউপি চেয়ারম্যান মশিউর রহমান জানান, সন্ধ্যা, সুগন্ধা ও আড়িয়াল খাঁ নদীর ভাঙনে তীরবর্তী বাবুগঞ্জ এলাকার বহু ঘরবাড়ি, আবাদী জমি, গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা নিশ্চিহ্ন হয়েছে, নিঃস্ব হয়েছে হাজারও পরিবার।

তিনি আরও জানান, সন্ধ্যা ও সুগন্ধার অব্যাহত ভাঙনে এখন ঝুঁকিতে রয়েছে বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর (দোয়ারিকা) সেতু, রাশিদা মোশাররফ একাডেমি, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আরও বেশ কিছু সরকারি বেসরকারি স্থাপনা, মসজিদ ও বসতবাড়ি।

/এমএ/