নীলফামারীতে বিপদসীমার ৬০ সেন্টিমিটার ওপরে তিস্তার পানি

ডিমলার অন্তত ৩৫টি গ্রাম প্লাবিত (ছবি-প্রতিনিধি)

অতি বৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢলে নীলফামারীতে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৬০ সেন্টিমিটার অতিক্রম করেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের ডালিয়া ডিভিশনের পানি পরিমাপক উপ-সহকারী প্রকৌশলী আমিনুর রশিদ বাংলা ট্রিবিউনকে রবিবার (১৩ আগস্ট) সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

পানি উন্নয়ন বোর্ড নীলফামারীর ডালিয়া ডিভিশনের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী হাফিজুল হক বলেন,  ‘রবিবার সকাল ৬টায় নদীর পানি বিপদসীমার ৬৫ সেন্টিমিটার, এরপর সকাল নয়টায় ৫ সেন্টিমিটার কমে এখন ৬০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।’

স্থানীয়রা জানান, গত তিনদিনে নীলফামারীর ডিমলা ও জলঢাকা উপজেলার অন্তত ৩৫টি গ্রামের ২ লক্ষাধিক মানুষ বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে। অপরদিকে, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে সদরের ১৫টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার প্রায় ২৫ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।  সুপেয় পানি ও খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে এলাকায়। পাশাপাশি পাল্লা দিয়ে বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম। চরম দুর্ভোগে পড়েছে সাধারন মানুষ।

এ ব্যাপারে সদর উপজেলার চেয়ারম্যান আবুজার রহমান বলেন, আমন চাষের ব্যাপক ক্ষতিসহ হাজার হাজার একর পুকুরের মাছ বানের পানিতে ভেসে গেছে।

উপজেলার খালিশা চাপানী ইউনিয়নের ছোটখাতা গ্রামের বানভাসি নজরুল ইসলাম ইসলাম (৪৫) বলেন, নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে ছোটখাতা গ্রামের ছয় শতাধিক বাড়িতে পানি প্রবেশ করেছে। পানিবন্দি এসব পরিবার চুলা জ্বালাতে না পেরে শুকনা খাবার খেয়ে দিন কাটাচ্ছে।

এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খালেদ রহীম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, বন্যা দুর্গত এলাকার মানুষের জন্য জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ দফতর থেকে ৯৩ মেট্রিকটন চাল ও নগদ ৫ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। বন্যা দুর্গতদের তালিকা প্রস্তত করতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এএইচ/