জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে শনিবার (১৯ আগস্ট) আশুলিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে দোয়া মাহফিল, আলোচনা সভা ও দুপুরের খাবারের আয়োজন করা হয়। আশুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাহাবুদ্দিন মাতব্বরের উদ্যোগে স্থানীয় আওয়ামী লীগ এ আয়োজন করে। ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ধামরাই উপজেলার সাবেক সংসদ সদস্য বেনজীর আহম্মেদ এতে প্রধান অতিথি ছিলেন।
সফিয়া খাতুন নামের এক বৃদ্ধা বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, ভোজের কথা শুনে তিনি তার তিন বছরের নাতনিকে নিয়ে এসেছিলেন। এখানকার লোকজনই তাদের খিচুড়ি খাওয়ার জন্য আসতে বলেছেন বলে জানান ওই বৃদ্ধা। ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, সবাই খাবার খেয়েছে আর তাদের দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখতে হয়েছে। হাজেরা খাতুন নামের আরেক নারী বলেন, তারা আশুলিয়ায় থাকেন। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান গরিবদের জন্য কাঙালি ভোজের আয়োজন করেছেন শুনে তিনি ছুটে আসেন। অথচ সবাই খাবার পেলেও তার মতো হতদরিদ্রদের খাবারের অপেক্ষায় বসে থাকতে হয়েছে। এই নারী বলেন, প্রায় তিনঘণ্টা বসে থেকেও খাবার না পেয়ে শেষ পর্যন্ত বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন তিনি। একই রকম অভিযোগ করেন খাদিজা, সালমা ও জাহানারা বেগম নামের তিন নারী।
দরিদ্র মানুষের জন্য আয়োজন অথচ তারাই খাবার থেকে বঞ্চিত হয়েছে– এমন প্রশ্নের জবাবে সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলী হায়দার বলেন, ‘অনুষ্ঠানটি আয়োজন করেছেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সাহাবুদ্দিন মাতব্বর। পর্যাপ্ত খাবারের ব্যবস্থাও ছিল। সেখানে সবারই খাবার পাওয়ার কথা।’ কিভাবে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে তা তার জানা নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এ ব্যাপারে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ধামরাই উপজেলার সাবেক সংসদ সদস্য বেনজীর আহম্মেদ বলেন, এ ধরনের অনুষ্ঠানে ধনী-গরিবের কোনও বিভেদ করা হয় না। সবার জন্যই খাবারের আয়োজন করা হয়। আশুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যানের অনুষ্ঠানে কিভাবে এমন ঘটনা ঘটেলো তা আমার জানা নেই।’
এ বিষয়ে আশুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাহাবুদ্দিন মাতব্বরের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
/এএম/ এপিএইচ/