জামালপুরে বন্যা পরিস্থিতির আরও উন্নতি

জামালপুরে বন্যা পরিস্থিতির আরও উন্নতিজামালপুরের বন্যা পরিস্থিতির আরও কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে এখনও বাহাদুরাবাদ পয়েন্টে যমুনার পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নব কুমার চৌধুরী এ তথ্য জানান।
নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, ‘বাহাদুরাবাদ পয়েন্টে গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনার পানি ১৯ সেন্টিমিটার কমে রবিবার সকালে ৫৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গত বৃহস্পতিবার সকালে বাহাদুরাবাদ পয়েন্টে বিপদসীমার ১২৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।

বন্যার পানিতে এখনও ভাসছে জামালপুরের সাত উপজেলার ছয় লক্ষাধিক মানুষ। বাড়ি-ঘর এখনও তলিয়ে আছে বন্যার পানিতে।

সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো.আব্দুর রাজ্জাক জানান, বন্ধ রয়েছে এক হাজারের বেশি শিক্ষা প্রতিষ্টান।

জামালপুর রেল স্টেশন মাস্টার মীর্জা শামছুল আলম জানান, চতুর্থ দিনেও  বন্ধ রয়েছে জামালপুর-সরিষাবাড়ি রেল ও সড়ক যোগাযোগ।

জেলা মৎস্য অফিসের সিনিয়র সহকারী পরিচালক মনির উদ্দিন জানিয়েছেন, জেলায় প্রায় ১০ হাজার পুকুরের মাছ ভেসে গেছে বানের পানিতে। এবারের বন্যায় জেলায় শুধুমাত্র মৎস্য খাতেই ক্ষতি হয়েছে পাঁচ হাজার ৫৯৬ দশমিক ১২ লাখ টাকা। পুকুরের মাছ ভেসে যাওয়ায় বিপুল ক্ষতির মুখে পড়েছে মৎস্য খামারীরা।

এদিকে, আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে খাবার সঙ্কটের পাশাপাশি গো-খাদ্যের সঙ্কট তীব্র হয়ে উঠেছে।

জেলা প্রশাসন, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, জামালপুরে বন্যায় পনিবন্দি মানুষের সংখ্যা ৯ লাখ ৬১ হাজার ১৩২ জন।

বন্যার কারণে নিহতে হয়েছেন ১০ জন। প্লাবিত হয়েছে ৪৮ হাজার ৭৮৭ হেক্টর জমি। এবার বন্যায় প্রথম দফায় আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত জমির পরিমাণ সাত হাজার ৪৭০ হেক্টর জমি। দ্বিতীয় দফায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৪৮ হাজার ৭৮৭ হেক্টর জমি। মাছের ক্ষতি হয়েছে ৫৫ হাজার ৯৬ দশমিক ১২ লাখ টাকা।

গবাদিপশু ৩ লাখ ৪৮ হাজার ৪৬টি এবং হাঁসমুরগির ক্ষতি হয়েছে ১১ লাখ ৭৬ হাজার ৮৬২টি।

ত্রাণ বণ্টন করা হয়েছে চাল এক হাজার ৩৪৬ কেজি। গুড়সহ রুটি বিতরণ করা হয়েছে ২১ হাজার ৯৭০ পিস এবং চিড়া ২৫০ কেজি।

/এসএমএ/