মাকে বেঁধে মেয়েকে তুলে নিয়ে গণধর্ষণের ঘটনায় মামলা

নীলফামারী

নীলফামারীর ডিমলা উপজেলায় মাকে বেঁধে মেয়েকে তুলে নিয়ে গণধর্ষণের ঘটনায় মামলা হয়েছে। রবিবার (২০ আগস্ট) রাতে ভিকটিমের বাবা ৯ জনকে আসামি করে মামলাটি (মামলা নং- ১৩) দায়ের করেন। ডিমলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোয়াজ্জেম হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

মামলার ৯ আসামি হলো- ঝুনাগাছচাপানী ইউনিয়নের ছাতুনামা গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে আব্দুর রহিম (৩০), দেলোয়ার হোসেন (৩৮) ও মিস্টার আলী (৩৪), একই এলাকার মৃত আজিজুল হকের দত্তক ছেলে ফিরিজুল ইসলাম (৩৫), চাটি মামুদের ছেলে নুর মোহাম্মদ (৪৫), মোখলেছার রহমানের ছেলে ফরিদুল ইসলাম (৩৫) ও আলমগীর হোসেন (৩০), অভয় চরন রায়ের ছেলে নির্মল চন্দ্র  রায় (৪০) এবং পেনকাটু রায়ের ছেলে মঙ্গলু রায় (৪০)।

এদিকে, হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত রবিবার বিকাল চারটা ২০ মিনিটে ভিকটিমকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সাড়ে পাঁচটার দিকে স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ সুলতানা রাজিয়া ভিকটিমের ডাক্তারি পরীক্ষা করেন। চিকিৎসক সুলতানা রাজিয়া বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘প্রাথমিক পরীক্ষায় ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে।’

ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, ‘৯ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।’

উল্লেখ্য, রবিবার (২০ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তিস্তা নদীর দুর্গম এক চর থেকে হাত বাঁধা ও অজ্ঞান অবস্থায় ভিকটিমকে উদ্ধার করে পুলিশ। এর আগে বাড়ির উঠানে দড়ি দিয়ে বাঁশের খুঁটিতে হাত বাঁধা অবস্থায় ভিকটিমের মাকে উদ্ধার করা হয়। বিকালে ভিকটিম বাংলা ট্রিবিউনের কাছে অভিযোগ করেন, শনিবার দিনগত রাতে একদল দুর্বৃত্ত তার ঘরের দরজা ভেঙে প্রবেশ করে তাকে মুখ-হাত বেঁধে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করে। এসময় বাধা দিতে গেলে দুর্বৃত্তরা তার মাকে মুখে কাপড় গুঁজে দিয়ে বাঁশের খুঁটিতে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখে।