বগুড়ায় যুবলীগ নেতার দোকান ভাঙচুর করেছেন শ্রমিক লীগ নেতা

বগুড়াবগুড়ার ধুনটে মথুরাপুর হাটের দোকান ঘরে চুলা বসানো নিয়ে যুবলীগ ও শ্রমিক লীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। শ্রমিক লীগের নেতাকর্মীরা মথুরাপুর ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি আমিনুল ইসলামের দোকান ভাঙচুর করেছেন। সোমবার (২১ আগস্ট) সকালের ওই ঘটনায় শ্রমিক লীগ সভাপতি মোশাররফ হোসেনসহ তিনজনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। এ ঘটনার পর একপক্ষ ব্যবসায়ীর কাছে এবং অন্যপক্ষ পরিবহনে চাঁদাবাজির অভিযোগ তোলেন। বিকালে এ খবর পাঠানো পর্যন্ত দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল। পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, ধুনট উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আল হেলাল এ বছর পরিষদ থেকে মথুরাপুর হাট ইজারা নেন। প্রায় ছয় মাস আগে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সহযোগিতায় হাটের জায়গায় প্রায় ৫০টি দোকান নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। ইতোমধ্যে ৩৮টি দোকান নির্মাণ করা হয়েছে। মথুরাপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আমিনুল ইসলাম ও একই ইউনিয়নের শ্রমিক লীগ সভাপতি মোশারফ হোসেন পাশাপাশি দোকান করেন। দু’টি দোকানে ডেকোরেশনের কাজ চলছিল। যুবলীগ নেতা আমিনুল ইসলাম তার ঘরে হোটেল দেওয়ার জন্য সামনে চুলা বসানোর উদ্যোগ নেন। রবিবার বিকালে এতে শ্রমিক লীগ নেতা মোশারফ হোসেন বাধা দেন। এ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়।
সোমবার সকাল ১০টার দিকে শ্রমিক লীগ নেতা মোশারফের শ্যালক মজনু খন্দকার দোকানের সামনে দিয়ে যাচ্ছিলেন। ওই সময় আমিনুলের সঙ্গে তার বাকবিতণ্ডা ও হাতাহাতি হয়। এক পর্যায়ে মজনুকে মারপিট করা হয়। এ খবর পেয়ে মোশারফের ছেলে সুজন আহমেদ রড নিয়ে হামলা চালিয়ে আমিনুলের দোকান ভাঙচুর করেন। খবর পেয়ে ধুনট থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

যুবলীগ নেতা আমিনুল ইসলাম অভিযোগ করেন, শ্রমিক লীগ নেতা মোশারফ এখানে বিভিন্ন পরিবহন থেকে ব্যাপক চাঁদাবাজি করেন। এর প্রতিবাদ করায় তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে ছেলেকে দিয়ে তার দোকানে হামলা চালিয়েছেন। এতে তার অন্তত ৮০ হাজার টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এ ব্যাপারে তিনি থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

শ্রমিক লীগ নেতা মোশারফ অভিযোগ করেন, আমিনুল এলাকার ব্যবসায়ীদের কাছে চাঁদাবাজি করেন। নিজের বিরুদ্ধে পরিবহনে চাঁদাবাজির অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি (মোশারফ) বলেন, ‘ট্রাক থেকে চেইনের মাধ্যমে টাকা তোলেন, কোনও চাঁদাবাজি করেন না।

মোশারফের ছেলে সুজন জানান, তার মামাকে মারধর করায় তিনি রড দিয়ে আমিনুলের দোকানে ভাঙচুর করেছেন।

ধুনট থানার ওসি মিজানুর রহমান বলেন, ‘ঘটনার পরপরই এলাকায় ফোর্স পাঠানো হয়েছিল। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’