ত্রাণ নিয়ে ছিনিমিনি হলে ক্ষমা নেই: মায়া

 

 

 




মানিকগঞ্জে বন্যাদুর্গতদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করছেন ত্রাণমন্ত্রী

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেছেন, ‘কোনও স্বজনপ্রীতি নয়,প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা করুন। বন্যার্ত মানুষের ত্রাণ নিয়ে কেউ ছিনিমিনি অথবা দুর্নীতি করলে সে যে-ই হোক, তার ক্ষমা নেই।’ তিনি বলেন,‘ঈদের পরপরই বন্যা পরবর্তী পুনর্বাসনের কাজ শুরু হবে। সরকার বন্যা কবলিত মানুষের পাশে আছে ।’








বুধবার (২৩ আগস্ট) দুপুরে মানিকগঞ্জের শিবালয়ে বেলায়েত হোসেন উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে ত্রাণ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।





অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মানিকগঞ্জ-১ আসনের এমপি এ এম নাঈমুর রহমান দুর্জয়,মানিকগঞ্জ -৩ আসনের এমপি মমতাজ বেগম, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও  ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব গোলাম মোস্তফা,জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি গোলাম মহিউদ্দিন,জেলা প্রশাসক নাজমুছ সাদাত সেলিম,পুলিশ সুপার মাহফুজুর রহমান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম,শিবালয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা  কামাল মোহাম্মদ রাশেদ প্রমুখ।


ত্রাণমন্ত্রী  বলেন,‘যতদিন পর্যন্ত বানভাসি মানুষ ঘরে ফিরে কাজ শুরু করতে না পারবে, ততদিন পর্যন্ত ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত থাকবে।’
দলীয় নেতাকর্মী ও সরকারি কর্মকর্তাদের হুঁশিয়ার করে মন্ত্রী বলেন,‘কোনও স্বজনপ্রীতি নয়, প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা করুন। ত্রাণ বিতরণে কোনও অনিয়ম মেনে নেওয়া হবে না।’
পরে মন্ত্রী আরিচা ঘাট থেকে স্পিডবোটে করে হরিরামপুর উপজেলায় যান। সেখানে দু’টি স্পটে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেন।
বন্যা কবলিত এলাকাগুলোতে সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন রাজনৌতিক সংগঠন ও ধনী ব্যক্তিদেরকে ত্রাণ কার্যক্রমে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান মন্ত্রী। মানিকগঞ্জের বেশ কয়েকটি উপজেলায় বন্যার পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ইতোমধ্যে ৬০০ মেট্রিক টন চাল ও ২০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এসব এলাকায় আরও ৩০০ টন চাল ও ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়ার ঘোষণা দেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী।