বগুড়া জেলা জজের প্রশাসনিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ

বগুড়ার প্রশাসনিক কর্মকর্তা আবু আউয়ালের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। জজ কোর্টের আইনজীবী আতিক মাহমুদ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে জেলা ও দায়রা জজের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। আবু আউয়াল তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, কেন এমন অভিযোগ আনা হলো তা তার বোধগম্য নয়।

অ্যাডভোকেট আতিক মাহমুদ অভিযোগ করেছেন, জেলা ও দায়রা জজ মিসকেস ও অন্যান্য বিষয়ে শুনানির জন্য যেসব নথি (এলসিআর) তলব করেন প্রশাসনিক কর্মকর্তা আবু আউয়াল বেশ কিছুদিন ধরে তা ধার্য তারিখে যথাসময়ে উপস্থাপন করেন না। ফলে এলসিআর না আসায় ওই শুনানির জন্য নতুন করে তারিখ ধার্য হয়। কিন্ত দায়রা সেশন শাখায় ১০০ টাকা দিলে তলব করা নথি জেলা ও দায়রা জজ আদালতে উপস্থাপন এবং তাৎক্ষণিক শুনানির ব্যবস্থা করা হয়। শুনানি শেষে আদালত ওই নথি অতিসত্বর নিম্ন আদালতে পাঠানোর আদেশ দিলেও তা দিনের পর দিন এমনকি মাসের পর মাস আটকে রাখা হয়। ফলে বিচারপ্রার্থীসহ আইনজীবীরা নানা অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন।

অ্যাডভোকেট আতিক মাহমুদ আরও অভিযোগ করেন, প্রশাসনিক কর্মকর্তা আবু আউয়াল নথি (এলসিআর) নিম্ন আদালতে পাঠানোর জন্য ১০০ টাকা করে আদায় করে থাকেন। টাকা না দিলে নথি  ইচ্ছেমত আটকে রাখা হয়। এভাবে তিনি মাসে এক থেকে দেড় লাখ টাকা আয় করে থাকেন।

এ বিষয়ে প্রশাসনিক কর্মকর্তা আবু আউয়াল বুধবার (২৩ আগস্ট) বিকালে এ প্রতিবেদককে জানান, আদালতে নথি উপস্থাপন, সরবরাহ বা পেশ করার সঙ্গে তার কোনও সম্পর্ক নেই। এসব কাজ পেশকার ও অন্যরা করে থাকেন। অ্যাডভোকেট আতিক মাহমুদের অভিযোগটি তিনি জেলা ও দায়রা জজের কাছে জমা দিয়েছেন। তিনি বলেন,‘কেন আমার বিরুদ্ধে এসব মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে সে ব্যাপারে কিছু জানা নেই।’