মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে ধানীসাফা ইউপি চেয়ারম্যান ও ধানীসাফা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হারুনর রশীদকে। মামলায় ২নং আসামি ধানীসাফা ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ইদ্রিস তালুকদার।
নিহত হাবিবুর রহমানের স্ত্রী মালেকা বেগম জানান, রবিবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে তার স্বামীকে ধানীসাফা ৪নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইদ্রিস তালুকদারের নেতৃত্বে বেশ কয়েকজন লোক তুষখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মসজিদের সামনে থেকে ধরে নিয়ে যায়। এরপর থেকে তার আর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিকালে হাবিব তালুকদার নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় মালেকা বেগম মঠবাড়ীয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
ওসি কে এম তারিকুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘হাবিব তালুকদার নিহত হওয়ার ঘটনায় তার ছেলে বাদী হয়ে মঠবাড়িয়া থানায় মামলা দায়ের করেছে। মামলায় আসামি করা হয়েছে ২৩-২৪ জনকে। এর মধ্যে ১৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। মামলাটি নিয়ে তদন্ত চলছে।’ এরই মধ্যে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা আসামি মাসুম তালুকদারকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে বলে জানান তিনি।
এদিকে, বুধবার সকাল ১০টায় তুষখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে নিহত হাবিব তালুকদারের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে পারিবারিক কবরস্থানে তার দাফন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন-
কলাপাড়ায় মা হত্যার ঘটনায় ছেলে আটক
কুড়িগ্রামে মেয়াদোত্তীর্ণ স্যালাইনে ডায়রিয়া রোগীর চিকিৎসা