ছাত্রীদের কমনরুমে মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ, ছাত্র বহিষ্কার

রাজশাহীরাজশাহীর বাঘা উপজেলার চন্ডিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের কমনরুমে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ভিডিও ধারণের অভিযোগে ওই প্রতিষ্ঠানের দশম শ্রেণির ছাত্র পারভেজ আহম্মেদকে বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে তার চাচা বজলুর রহমানকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকালে এ আদেশ দেন বাঘা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ হামিদুল ইসলাম।

জানা গেছে, মোবাইল ফোনে ছাত্রীদের ছবি ধারণের জন্য গোপনে বিদ্যালয়ের কমনরুমের জানালার র‌্যাকের ওপর মোবাইল ফোনটি চালু করে রেখে যায় পারভেজ। বিদ্যালয় ছুটির পর কমনরুম বন্ধ করার সময় প্রতিষ্ঠানের আয়া ফোনটি দেখতে পেয়ে বিদ্যালয়ের ধর্ম শিক্ষক আব্দুল কুদ্দুসের কাছে জমা দেন। আব্দুল কুদ্দুস বিষয়টি প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলামকে জানান। প্রধান শিক্ষক ফোনটি স্কুল গর্ভনিং কমিটির সভাপতি ও বাজুবাঘা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুর রহমানের কাছে জমা দিতে বলেন। সেখানে যাওয়ার আগেই পারভেজ ও তার চাচা বাজুবাঘা ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি বজলুর রহমান বিদ্যালয়ে এসে ফোনটি চান। শিক্ষক আব্দুল কুদ্দুস মোবাইল ফোন দিতে না চাইলে তারা তাকে বাঁশের লাঠি মারধর করে। স্থানীয়রা এগিয়ে গিয়ে শিক্ষককে উদ্ধার করেন।

এ বিষয়ে আব্দুল কুদ্দুস বলেন, ফোন দিতে না চাইলে তারা আমাকে মারধর শুরু করে।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছিল। তিনি বুধবার সকাল ১০টায় চাচা-ভাতিজাকে তার কার্যালয়ে ডেকে পাঠিয়ে সাজা দিয়েছেন। প্রধান শিক্ষক আরও বলেন, ‘এর আগেও ছাত্র পারভেজ এক ছাত্রীকে উত্যক্ত করার অভিযোগে বিদ্যালয়ে শালিস বৈঠক বসেছিল। সেখানে সে অপরাধ স্বীকার করে সবার কাছে ক্ষমা চায়।

বাঘা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হামিদুল ইসলাম বলেন, ‘ওই শিক্ষার্থীকে বিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের নির্দেশ দিয়েছি। তার চাচাকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।’