গাজীপুর জেলা বাজার কর্মকর্তা আব্দুস সালাম জানান, গাজীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আশরাফ উদ্দিনের নেতৃত্বে গাজীপুর সদর উপজেলার বাঘের বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়। দোকানে থাকা চাল কেনার রশিদ ও রেজিস্ট্রার খাতা দেখাতে না পারায় এবং দোকানে মূল্য তালিকা টানানো না থাকায় ওই বাজার এলাকায় চালের খুচরা ব্যবসায়ী হাজী স্টোরের মালিক মোহাম্মদ আলী, মারুফ স্টোরের মালিক রাকিবুল হাসান, রায়হান স্টোরের মালিক মো. রায়হান, রাজাবাড়ি স্টোরের মালিক স্বপন চন্দ্র ঘোষ ও আফজাল স্টোরের মালিক আমান উল্লাহ আমানকে ১০ হাজার টাকা করে মোট ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অভিযানকালে গাজীপুর জেলা বাজার কর্মকর্তা মো. আব্দুস সালামসহ আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
একইদিন কালীগঞ্জ উপজেলায় গাজীপুরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সোহাগ হোসেনের নেতৃত্বে কালীগঞ্জ বাজারেও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়। অভিযানকালে নির্দিষ্ট মজুদের চেয়ে অধিক চাল মজুদ করার অপরাধে ভোক্তা অধিকার আইনের ২০০৯ এর ৪৫ ধারা মোতাবেক মেসার্স গৌরাঙ্গ ভান্ডারকে ৩০ হাজার টাকা এবং মেসার্স জামান স্টোরকে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।
সোহাগ হোসেন জানান, ব্যবসায়ীদের কাছে সর্বোচ্চ ১৫ টন চাল মজুদ থাকার কথা। কিন্তু মেসার্স গৌরাঙ্গ ভান্ডারে ৬৫.৭ টন এবং মেসার্স জামান স্টোরে ২৯.২৫ টন চাল মজুদ পাওয়ায় যায়। পরে দিনের মধ্যে মজুদকৃত চাল অন্য ব্যবসায়ীদেরকে দিয়ে দেওয়ার শর্তে তাদের কাছ থেকে মুচলেকা নেওয়া হয়।