নীলফামারীতে আগাম জাতের ধান কাটা শুরু

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় আগাম জাতের ধান মাড়াই করা হচ্ছেনীলফামারীর কিশোরগঞ্জে আগাম জাতের নতুন ধান উঠতে শুরু করেছে। জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলার চাঁদখানা, বাহাগীলি, পুটিমারী ও নিতাই ইউনিয়নে সরেজমিন ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

জেলা কৃষি বিভাগ বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) ওই ধান কাটা ও মাড়াইয়ের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করে। এসময় রংপুর কৃষি অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক শাহ আলম, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ দফরের উপ-পরিচালক গোলাম মোহাম্মাদ ইদ্রিস, অতিরিক্ত উপরিচালক কেরামত আলী ও কিশোরগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এনামুল হক উপস্থিত ছিলেন।

এলাকার কৃষকরা বলছেন চালের এই অস্থির বাজারে আগাম জাতের নতুন ধান উঠায় সাধারণ মানুষ বেজায় খুশি। তারা বলেন, এখন ওই জমিতে আগাম আলুসহ নানা ধরনের শাক সবজি ও ভুট্টার চাষ করা হবে।

চাঁদখানা গ্রামের কৃষক আশরাফ আলী (৩৮) বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘এবার দেড় বিঘা জমিতে আগাম জাতের আমন ধানের চাষ করেছি। এটি তিন মাসের মাথায় ঘরে তোলা যায়। এই জমিতে আগাম গম, আলু, ভুট্টা, ফুলকপি, পাতাকপি ও নানা ধরনের শাকসবজিও চাষ করা যায়। এতে ধানের পাশাপাশি এসব ফসল থেকেও আয় করা যায়।’

একই গ্রামের কৃষক মনির উদ্দিন (৫৫) বলেন, ‘আগাম ধানের আবাদে নতুন চাল বাজারে অনেকটাই সহায়ক হবে। এছাড়া আরও আগাম ফসল ফলাতে পারছি আমরা।’

কিশোরগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এনামুল হক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘এবার উপজেলায় ১৪ হাজার ৭৬০ হেক্টর জমিতে আমন ধান আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে আগাম জাতের চায়না ও উচ্চ ফলনশীল জাতের ধান সাড়ে চার হাজার হেক্টর জমিতে রয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘গত চার সেপ্টেম্বর থেকে এখন পর্যন্ত তিনশত ৫৫ হেক্টর জমির ধান কাটা হয়েছে। প্রতি বিঘায় ১৫ থেকে ১৬ মণ ধানের ফলন হয়েছে। ধান কাটার পর এসব জমিতে আলুসহ বিভিন্ন ধরনের ফসল ফলানো যাবে।’

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ দফতরের উপ-পরিচালক গোলাম মোহাম্মদ ইদ্রিস বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘এবার জেলায় আমন ধানের আবাদ হয়েছে ১ লাখ ১২ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে আগাম চাষ হয়েছে ২২ হাজার হেক্টর।’ আগাম জাতের এই উচ্চ ফলনশীল ধানের নতুন চাল বর্তমান বাজারে প্রভাব ফেলবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।