মানবিক কারণে রোহিঙ্গাদের দেশে ফেরার প্রক্রিয়া সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত স্থায়ীভাবে ভাসান চরে আশ্রয় দেওয়ার কথা ভাবছে বাংলাদেশ সরকার। এ চরের প্রায় ১০ হাজার একর জায়গায় রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়া হবে।
নোয়াখালীর মেঘনা নদী ও বঙ্গোপসাগরের মোহনায় জেগে উঠা ভাসান চরে নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে এখন মানুষের বসবাসের উপযোগী করার কাজ চলছে। গত শনিবার চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার আবদুল মান্নান ও চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি এসএম মনির-উজ-জামান কাজের অগ্রগতি দেখতে নোয়াখালী যান।
প্রকৃতপক্ষে, জালিয়ার চর ও ঠেঙ্গারচর দুটি ভিন্ন চর। দুটির মধ্যে দুই থেকে আড়াই কিলোমিটার দূরত্ব। ঠেঙ্গারচর ও জালিয়ার চর– এই দুই দ্বীপকে মিলিয়ে সম্প্রতি বিদায়ী নোয়াখালী জেলা প্রশাসক বদরে মুনীর ফেরদৌসের নামানুসারে চর মুনীর নামকরণের প্রস্তাব করা হয়। তবে তা সফল হয়নি। স্থানীয় এমপি (নোয়াখালী-৬) বেগম আয়েশা ফেরদৌস দাবি করেন, স্থানীয়রা চরের দুই অংশের একটি নাম দিয়েছে ‘চর প্রিয়া’। তিনি বলেন,‘নৌবাহিনীর প্রধান ও প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব দ্বীপটি পরিদর্শন করেছেন। রোহিঙ্গাদের জন্য যে স্থান চিহ্নিত করা হয়েছে, তা মানুষ বসবাসের উপযোগী বলে মত দিয়েছেন তারা।’
তিনি আরও বলেন, ‘যাতায়াত ব্যবস্থা নাজুক হলেও দ্বীপটির সঙ্গে নৌ যোগাযোগ সহজ করতে এরই মধ্যে পল্টুন স্থাপন করা হয়েছে। হেলিকপ্টার অবতরণে হেলিপ্যাড নির্মাণ করা হয়েছে। নিরাপত্তায় রয়েছেন নৌবাহিনীর সদস্যরা।’
নোয়াখালী জেলা সদর থেকে প্রায় ৮০ কিলোমিটার ও উপকূলীয় উপজেলা সুবর্ণচর থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার, চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলার পশ্চিম প্রান্ত থেকে ৫ কিলোমিটার পশ্চিমে এবং হাতিয়া উপজেলা সদর থেকে ২৫ কিলোমিটার পূর্বদিকে মেঘনা নদী ও বঙ্গোপসাগরের মোহনায় জেগে ওঠে বিচ্ছিন্ন এবং জনমানবশূন্য ভাসানচর।একসময় এটি বনদস্যু ও জলদস্যুদের অভয়ারণ্য ছিল। নৌবাহিনী রোহিঙ্গাদের জন্য অবকাঠামো নির্মাণের কাজ শুরু করার পর থেকে বনদস্যু ও জলদস্যুদের আনাগোনা নেই।
আরও পড়ুন:
এখন থেকে ভাসানচর নামেই পরিচিতি পাবে ঠেঙ্গারচর: ত্রাণ সচিব