চাল ব্যবসায়ীদের লাইসেন্স: খরচ বাড়বে, দাম কমবে না

বরিশালচাল ব্যবসায়ীদের নতুন লাইসেন্স নিতে সরকার যে নির্দেশনা দিয়েছে তাতে ব্যবসার খরচ বাড়বে কিন্তু খুচরা বাজারে চালের দাম কমবে না বলে মনে করছেন বরিশালের চাল ব্যবসায়ীরা।

বরিশাল চাল ব্যবসায়ী সমিতির সাংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক কমল সাহা বলেন, ‘প্রত্যেক চাল ব্যবসায়ীকে ট্রেড লাইসেন্স, ফায়ার সার্ভিস লাইসেন্স, শ্রম অধিদফতরের লাইসেন্স, কৃষি মন্ত্রণালয়ের লাইসেন্স, আয়কর, মূসকসহ বছরে ৩৫/৪০ হাজার টাকা ব্যয় করতে হয়। এখন নতুন করে লাইসেন্স নেওয়ার বাধ্যবাধকতায় ব্যবসায়ীদের খরচ আরও বাড়বে। ফলে খুচরা বাজারে চালের দাম কমানো কষ্টকর হয়ে যাবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘মূলত বাজারে চাহিদা ও যোগানের ওপরই যেকোনো পণ্যের দাম নির্ভর করে। অন্যভাবে দাম কমানোর চেষ্টায় সাময়িক সুফল আসলেও, তা দীর্ঘমেয়াদে কুফল বয়ে আনতে পারে।’

এদিকে, বরিশাল জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মশিউর রহমান বলেন, ‘চাল ব্যবসায়ীদের ওপর লাইসেন্স নেওয়ার বাধ্যবাধকতা নতুন করে আরোপিত হয়নি, আইনেও এই বাধ্যবাধকতা ছিল। এখন খাদ্যের মজুদ ঠেকাতে এ নজরদারি শুরু করা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বরিশালে মোট ৩২ জন পাইকারি এবং ১১ জন খুচরা চাল ব্যবসায়ী আছেন। তাদের আগামী ৩০ অক্টোবরের মধ্যে লাইসেন্স নিতে চিঠি দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে অনেকেই লাইসেন্স নিতে আবেদন করেছেন। আশাকরছি এ সময়ের মধ্যে বাকিরাও আবেদন করবেন। তবে যারা লাইসেন্স নেবেন না নির্দিষ্ট সময়ের পর ভ্রাম্যমাণ আদালত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন।’

জেলা খাদ্য কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘ট্রেড লাইসেন্স ও তিন কপি ফটোসহ খাদ্য বিভাগের নির্ধারিত ফরমে আবেদন করতে পারবেন ব্যবসায়ীরা। পাইকারি ব্যবসায়ীরা বছরে চার হাজার টাকা ও ১৫ শতাংশ মূসক এবং খুচরা ব্যবসায়ীরা বছরে এক হাজার টাকা ও ১৫ শতাংশ মূসক দিয়ে লাইসেন্স নিতে পারবেন। একজন পাইকারী ব্যবসায়ী মাসে তিনশ টন এবং খুচরা ব্যবসায়ীরা মাসে ১৫ টন চাল মজুদ রাখতে পারবেন।’

আরও পড়ুন:
বাংলাদেশে প্রবেশ করছে আরও হাজার হাজার রোহিঙ্গা (ছবিতে)
জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের আটকের প্রতিবাদে শিবিরের তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ