মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) ঢাকায় মাইক্রোসফট হেড অফিসের আমেরিকান প্রতিনিধি দলের উপস্থিতিতে ফাতেমা অফিসটি ঘুরে দেখার সুযোগ পায়। সঙ্গে ছিলেন তার বাবা আয়নাল হক ও আশার আলো পাঠশালার প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান কুমার বিশ্বজিৎ বর্মন। কুড়িগ্রাম জেলার নাগেশ্বরী উপজেলার রামখানা ইউনিয়নের ভুইয়াটারী গ্রামের বাসিন্দা ফাতেমা এখন উচ্চ মাধ্যমিকের ছাত্রী।
ফাতেমা জানায়, আশার আলো পাঠশালা তাকে চতুর্থ শ্রেণিতে ভর্তি করায়। এরপর পঞ্চম শ্রেণি ও অষ্টম শ্রেণিতে সে জিপিএ-৫ অর্জন করে। এসএসসিতে সে মানবিক বিভাগ থেকে ৪.৯০ জিপিএ অর্জন করে। এখন উচ্চ মাধ্যমিকে পড়ছে। এ পথ চলায় পড়াশোনার পাশাপাশি সে আশার আলো পাঠশালায় কম্পিউটার প্রশিক্ষণও নিতে থাকে। সঙ্গে চলে ইংরেজিতে কথা বলার চেষ্টাও। প্রান্তিক নারীদের প্রতিনিধি হিসেবে সে ডাক পায় মাইক্রোসফট বাংলাদেশ হেড অফিস পরিদর্শনের।
ফাতেমা জানায়, তার স্বপ্ন তথ্যপ্রযুক্তির (কম্পিউটার) একজন শিক্ষক হওয়া। মাইক্রোসফট বাংলাদেশের হেড অফিসে সে তার বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা পাওয়ার গল্প বলেছে। চতুর্থ শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় বাল্যবিয়ের পিড়ি থেকে উঠে এসে, পারিবারিক, সামাজিক নির্যাতনের স্বীকার হয়েও কিভাবে সে আজ এইচএসসিতে পড়ালেখা করছে সে বিষয়গুলোও তুলে ধরেছে।
ফাতেমার বাবা আয়নাল হক বলেন, ‘আমি এখন উপলব্ধি করছি আমার মেয়ের বাল্যবিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত ছিল ভুল। আমার মেয়ে যতদূর পর্যন্ত পড়তে চায় পড়বে, আমার আর তাতে কোনও বাধা থাকবে না।’
আশার আলো পাঠশালার প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান কুমার বিশ্বজিৎ বর্মন বলেন, ‘ফাতেমা নিজের চেষ্টা, ধৈর্য আর একাগ্রতায় আজ এই যোগ্যতা অর্জন করেছে। আজকের এই সুযোগ তৈরি করে দিয়েছেন মাইক্রোসফটের বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সোনিয়া বাসির কবির। আমিও সৌভাগ্যবান যে তার সফর সঙ্গী হওয়ার সুযোগ পেয়েছি।’