নীলফামারী ডিমলা উপজেলার ডালিয়া ছোট খাতা গ্রামের হতদরিদ্র লুৎফর রহমান মাখন ও রাবেয়া বেগমের মেয়ে লতিফা। জন্মের এক বছর পর থেকে কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে শিশুটি। লুৎফর রহমান মাখন ডালিয়া এলাকায় একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী।
গত তিন বছর ধরে তার চিকিৎসা করে বাবা লুৎফর রহমান নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন। মেয়ের চিকিৎসার জন্য যেটুকু জমি ছিল তাও বিক্রি দিয়েছেন। তার চিকিৎসার জন্য প্রায় সাত লাখ টাকা খরচ হয়েছে। এখন আর এ ব্যয় বহন করতে পারছে না দরিদ্র পরিবারটি।
রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের কিডনি রোগ ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ সহকারী অধ্যাপক ডা. মোবাশ্বের আলম (সুজা) জানিয়েছেন, পরীক্ষা নিরীক্ষার এক পর্যায়ে ধরা পড়ে শিশুটির দুটি কিডনি নষ্ট হওয়ার উপক্রম। তাই উন্নত চিকিৎসার জন্য আরও প্রায় তিন থেকে চার লাখ টাকার প্রয়োজন।
শিশু লতিফা আক্তারের বাবা লুৎফর রহমান মাখন বলেন, ‘তিন বছর ধরে মেয়ের চিকিৎসা করতে জমি, টিনের ঘর বিক্রি করে আজ প্রায় পথের ফকির হয়েছি।’ মেয়েটি আবারও অসুস্থ হয়ে পড়ায় উপায় না পেয়ে বসবাসের একটি টিনের ঘর ১৪ হাজার টাকায় বিক্রি করে মেয়েকে পার্বর্তীপুর মিশন হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছেন তিনি।
চিকিৎসকরা বলছেন, উন্নত চিকিৎসার জন্য শিশুটিকে ভারতে নেওয়া প্রয়োজন। বর্তমানে শিশুটি দিনাজপুরের পার্বর্তীপুর মিশন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। শিশুটির উন্নত চিকিৎসার জন্য অনেক টাকার প্রয়োজন। তাই বাধ্য হয়ে অসহায় বাবা তার নিঃষ্পাপ সন্তানকে বাঁচাতে সমাজের বিত্তবানদের কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন।
সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা- মো. লুৎফর রহমান মাখন, মোবাইল ফোন ও বিকাশ- (পার্সোনাল) ০১৭৬৬-৩৯৪৯২৮।