মামলার এজাহারভুক্ত আসামিরা হচ্ছে– সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার কুলঞ্জ ইউনিয়নের কুলঞ্জ ধীতপুর গ্রামের নবু মিয়া চৌধুরীর ছেলে রায়হান চৌধুরী। বর্তমানে সে শাহপরাণ থানাধীন শাপলাবাগ এলাকার বাসিন্দা। জকিগঞ্জ উপজেলার সেনাপতি গ্রামের ময়না মিয়ার ছেলে তোফায়েল আহমদ, বিয়ানীবাজারের চারখাই গ্রামের মৃত মইনুল হক চৌধুরীর ছেলে সারোয়ার হোসেন চৌধুরী, সদর উপজেলার বালুচর আরামবাগ এলাকার আকরাম খানের ছেলে জুবায়ের খান, উপশহর ডি ব্লকের ২৩ নং রোডের ৪৪১ নং বাসার হাবিবুর রহমানের ছেলে জাকারিয়া মাহমুদ, ফেঞ্চুগঞ্জের শরীফগঞ্জ গ্রামের সাজ্জাদ মিয়ার ছেলে ফাহিম শাহ, জকিগঞ্জ সেনাপতির চক গ্রামের ময়না মিয়ার ছেলে ফখরুল আহমেদ, টিলাগড়ের কালাশিল এলাকার মৃত ওসমান গণির ছেলে শওকত হাসান মানিক এবং শাপলাবাগ এলাকার রফিউল করিম মাসুম, জেলা ছাত্রলীগের সদ্যবিলুপ্ত কমিটির সহসাধারণ সম্পাদক জুবায়ের খান, সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক জাকারিয়া মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক ফাহিম শাহ এবং উপদপ্তর সম্পাদক রফিউল করিম মাসুম।
শাহপরাণ থানার ওসি আক্তার হোসেন জানান, পুলিশ হত্যা মামলার আসামিদের গ্রেফতার করার জন্য অভিযান অব্যাহত রেখেছে। ইতোমধ্যে পুলিশ বেশ কয়েকটি স্থানে অভিযান চালিয়েছে। মামলা হওয়ার পরপরই অনেকে গা ঢাকা দিয়েছে।
গত সোমবার (১৬ অক্টোবর) সিলেট নগরীর টিলাগড় মসজিদের পাশে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রায়হান চৌধুরী ও সাবেক জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হিরণ মাহমুদ নিপু গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষ হয়। এতে ছুরিকাঘাতে নিহত হন হিরণ গ্রুপের অনুসারী উমর মিয়াদ। নিহত উমর মিয়াদ সিলেটের জগন্নাথপুরের বিরশ্রী গ্রামের আকুল মিয়ার ছেলে ও বেসরকারি লিডিং ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী ছিলেন।