ধর্ষণের শিকার শিশুটির বাবা বলেন, তিনি স্ত্রী ও সাত বছরের মেয়েকে নিয়ে সাভারের হেমায়েতপুরের হরিণধারা এলাকায় ভাড়া বাড়িতে থাকেন। বুধবার দুপুরে তার মেয়ে বাড়ির পাশের একটি দোকানে বিস্কুট কিনতে যায়। এসময় প্রতিবেশী এক বখাটে তার মেয়েকে নুরু মেম্বারের বাড়ির ছাদে একটি মোবাইল ফোন দিয়ে আসতে বলে। তবে ওই বখাটের কথায় রাজি না হলে সে শিশুটিকে জোর করে বাড়ির ছাদে নিয়ে যায়। এরপর তাকে ধর্ষণ করে বাড়ির ছাদে ফেলে রেখে বখাটে পালিয়ে যায়। পরে শিশুটি বাড়িতে আসে। বিকালের দিকে অসুস্থ হয়ে পড়লে ঘটনা জানতে পারে তার পরিবার। পরে তাকে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে সেখানে অবস্থার অবনতি হলে বুধবার রাত সাড়ে দশটার দিকে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করা হয়। খবর পেয়ে রাতেই সাভার মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আমজাদুল হক ধর্ষণের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণণে শিশুটির অবস্থার অবনতি হওয়ায় রাতে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়।
এ ব্যাপারে সাভার মডেল থানার ওসি মহসিনুল কাদির বলেন, ‘খবর পেয়ে সাভার মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তবে ধর্ষকের পরিচয় না পওয়ায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।’ এ ঘটনায় সাভার মডেল থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।