পটুয়াখালীতে বেড়িবাঁধ ভেঙে পাঁচ গ্রাম প্লাবিত, পানিবন্দি হাজারও মানুষ

প্লাবিত এক এলাকা (ছবি- প্রতিনিধি)

পটুয়াখালীর কলাপাড়ার লালুয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন পয়েন্টে বেড়িবাঁধ ভেঙে পাঁচটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। শুক্রবার (২০ অক্টোবর) সকাল থেকে শুরু হওয়া টানা বৃষ্টি ও অমাবস্যার জো’র প্রভাবে সৃষ্ট জোয়ারে পানি বেড়ে যাওয়ায় কিছু পয়েন্টে বেড়িবাঁধ ভেঙে যায়। এতে পাঁচটি গ্রাম প্লাবিত হওয়ার পাশপাশি বেড়িবাঁধ সংলগ্ন এলাকায় হাজারও মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। ভেসে গেছে অনেকের বসতঘর, মাছের ঘের ও ফসলি জমি।

কলাপাড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল খায়ের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, বেড়িবাঁধের অরক্ষিত পয়েন্টগুলো ভেঙে গেছে। এতে ওই পাঁচ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

প্লাবিত হওয়া গ্রামগুলো হলো, লালুয়া, চারিপাড়া, পশরবুনিয়া, সেনের হাওলা, দাসের হাওলা। এদিকে, টানা বর্ষণে শহরের বিভিন্ন সড়কও তলিয়ে গেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রাস্তাঘাট-বাড়িঘরে পানি প্রবেশ করায় বেড়িবাঁধ সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দারা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। উচ্চ জোয়ারে স্বাভাবিকের চেয়ে দুই থেকে তিন ফুট পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় পটুয়াখালীর অর্ধ-শত চর প্লাবিত হয়ে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে।

অবহাওয়া অফিস থেকে মাছধরার ট্রলারগুলোকে নিরাপদ আশ্রয় থাকতে বলা হয়েছে। পায়রা বন্দরকে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলায় এ বন্দরের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। নদী বন্দরকে ২ নম্বর সংকেত দেখিয়ে যেতে বলায় অভ্যন্তরীণ নৌরুটে ছোট লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।

রাঙ্গাবালী উপজেলার চরমোন্তাজ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু হানিফ মিয়া জানান, কয়েক দিনের টানা বর্ষণ ও জোয়ারের পানিতে তার ইউনিয়নের ১ ও ৮নং ওয়ার্ড তলিয়ে রয়েছে। এতে মানুষ পানিবন্ধি হয়ে পড়েছেন।

কলাপাড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল খায়ের জানান, লালুয়া ইউনিয়নের চারিপাড়া ও পশরবুনিয়া পয়েন্টে বেড়িবাঁধ ভাঙার পাশাপাশি ডালবুগঞ্জ ইউনিয়নের রমজানপুর পয়েন্টের বেড়িবাঁধ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। বেড়িবাঁধটি ভেঙে গ্রামে যাতে পানি ঢুকতে না পারে সেজন্য এখানে লোকজন লাগিয়ে ইতোমধ্যে কাজ শুরু করা হয়েছে।