যুবকের লাশ উদ্ধার, সাবেক স্ত্রীসহ তিন জন আটক

চট্টগ্রাম

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মিরসরাই উপজেলার জোরারগঞ্জের সোনাপাহাড় এলাকা থেকে ওমর ফারুক (৩০) নামে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (২০ অক্টোবর) সকালে ওই এলাকার সড়কের পাশ থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছেন জোরারগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহেদুল কবির।

পুলিশ জানায়, এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ওমর ফারুকের সাবেক স্ত্রীসহ তিন জনকে আটক করা হয়েছে। আটক তিন জন হলেন, ফারুকের সাবেক স্ত্রী জেসমিন সুলতানা (২৫), শ্যালিকা আবিদা সুলতানা ও জেসমিনের প্রেমিক নুরুল আবছার ওরফে রুবেল (২২)। আটককৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

ওমর ফারুক মিরসরাই উপজেলার জোরারগঞ্জ থানার মেহেদীনগর এলাকার সুজাউল হকের ছেলে। তিনি উপজেলার বারৈয়াহাট এলাকায় কাপড়ের হকারি করতেন।

ওসি জাহিদুল কবির বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, 'স্থানীয়রা থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তার লাশ উদ্ধার করে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।' এ ঘটনায় ফারুকের ছোট ভাই মো. ইব্রাহীম বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা করেছেন বলেও তিনি জানান।

জেসমিনদের বাড়ি ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার নাঙ্গলমুরায়। তারা জোরারগঞ্জে ভাড়া বাসায় থাকতেন। বছর খানেক আগে তার সঙ্গে ফারুকের বিবাহবিচ্ছেদ হয়।

জাহিদুল কবির বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে আমরা জানতে পেরেছি, বৃহস্পতিবার রাতে ওমর ফারুককে ডেকে নিয়ে জেসমিন, রুবেল ও আবিদা শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে লাশ মহাসড়কের পাশে ফেলে যায়।’

তিনি আরও বলেন, ‘জেসমিন জানিয়েছেন, ছাড়াছাড়ির পর ফারুক জেসমিনকে আবার নিজের কাছে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করলেও সে ফিরে আসেনি। ফিরে না আসায় ফারুক বিভিন্নভাবে তাকে ভয়ভীতি দেখাতো। এর জের ধরে ফারুককে হত্যা করা হয়েছে।’