সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, টানা বৃষ্টিতে কুমিল্লা নগরীর কান্দিরপাড় থেকে টমছম ব্রিজ সড়ক, টমছম ব্রিজ থেকে বাখরাবাদ, রেইসকোর্স থেকে জেলা প্রশাসকের বাসভবন, চিড়িয়াখানা, ছাতিপট্টি, হাউজিং এস্টেট, কাটাবিল বাদশামিয়ার বাজার থেকে রেইসকোর্স সড়ক, রাণীর বাজার থেকে বাগিচাগাঁও হয়ে পুলিশ লাইন, ঠাকুরপাড়ার কালিমন্দির সড়ক, অশোকতলা, স্টেডিয়াম মার্কেট, বিসিক শিল্পনগরী, সংরাইশ, জগন্নাথপুর, পাথুরিয়াপাড়া, শুভপুর, সুজানগর, ধর্মপুর কালিয়াজুঁড়ি, ছোটরা, উত্তর ও দক্ষিণ চর্থার বিভিন্ন সড়ক, আশ্রাফপুর, শাকতলা এবং শহরতলীর গাংচোরসহ নগরীর বিভিন্ন এলাকার সড়কগুলো তলিয়ে গেছে।
এছাড়া টানা বৃষ্টিতে প্রায় সব ছোট-বড় সড়কে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় দেখা দিয়েছে যানবাহনের সংকট। ফলে বৃষ্টি উপেক্ষা করে কর্মক্ষেত্রে বের হওয়া সাধারণ মানুষ পড়েছে দুর্ভোগ ও বিড়ম্বনায়। শুক্রবার ও শনিবার (২১ অক্টোবর) সাপ্তাহিক ছুটি ও দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে নগরীরতে টানা দুই দিন পরিবহনের উপস্থিতি ছিল কম। তবে শ্রমজীবী ও খেটে খাওয়া মানুষকে রাস্তায় নামতে হয়েছে। তারাই বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন।
এছাড়াও, নগরীর কালিয়াজুঁড়ি, গাংচোর, অশোকতোলা, বাগিচাগাঁওসহ নিচু এলাকাগুলোর বাসাবাড়ি, দোকানপাটের পানি ডুকে জলজট সৃষ্টি হয়েছে। প্রায় প্রতিটি রান্নাঘরে ঢুকে পড়েছে পানি এবং নেই গ্যাস। ফলে এসব এলাকার পরিবারদের রান্না বন্ধ। বেড়েছে নিম্ন, মধ্য ও দরিদ্র মানুষের দৈনিক জীবনের দুর্ভোগ।
নগরীর রেইসকোর্স এলাকার বাসিন্দা কালিরবাজার ইউপি হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. মিজানুর রহমান আখন্দ বলেন, ‘খানাখন্দ বড় বড় গর্তে বিকল সড়ক, দীর্ঘদিনের জলাবদ্ধতা এবং বৃষ্টির জলজটের সমস্যায় নগরবাসীর দুর্ভোগের সীমা নেই। এছাড়া নগরীতে প্রবেশের তিনটি সড়কই এখন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। নগরীর রাস্তা সংস্কারের পাশাপাশি এসব সড়কগুলো নিয়মিত সংস্কার করে যানচলাচলের উপযোগী করা প্রয়োজন ছিল। জনদুর্ভোগ নিরসনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্রুত এসব সড়ক সংস্কারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।’
নগরীর অশোকতলার বাসিন্দা আবু ইউছুফ বলেন, ‘দুই দিনের টানা বৃষ্টিতে নিচতলার সব বাসার রান্নাঘরে পানি ঢুকেছে। সৃষ্টি হয়েছে জলজট। ফলে রান্নাবান্না বন্ধ রয়েছে। এতে হোটেলের খাবারের দাম বেড়ে গেছে। দরিদ্র ও হতদরিদ্রদের দুর্ভোগ বেড়েছে।’
কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী অনুপম বড়ুয়া বলেন, ‘অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে কুমিল্লাজুড়েই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। জলাবদ্ধতা নিরসনে আমারা সার্বিকভাবে সর্বোচ্চ কাজ করার চেষ্টা করছি।’