জামায়াত-সমর্থিত চেয়ারম্যান বক্তব্য দেওয়ায় অনুষ্ঠান বর্জন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রীর

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রীর অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগের পর উত্তপ্ত হয়ে ওঠেন উপজেলা আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সমর্থকরা (ছবি- প্রতিনিধি)

জামায়াত-সমর্থিত উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বক্তব্য দেওয়ায় নীলফামারীর জলঢাকার মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বর্জন করেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। শনিবার (২১ অক্টোবর) দুপুরের দিকে এ ঘটনা ঘটে।

জলঢাকা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনছার আলী বাংলা ট্রিবিউনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ‘সভায় জামায়াত-সমর্থিত উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দ আলী বক্তব্য দেওয়ায় মন্ত্রী অনুষ্ঠান বর্জন করেন।’

স্থানীয় সূত্র জানায়, মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের ফলক উম্মোচনের পর আ ক ম মোজাম্মেল হক মূল অনুষ্ঠানে গিয়ে বসেন। ইতোমধ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহা. রাশেদুল হক প্রধানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাকর্মীরা বক্তব্য দেওয়া শুরু করেন। এর কিছুক্ষণ পরই বক্তব্য দেন জামায়াত-সমর্থিত চেয়ারম্যান মো. সৈয়দ আলী। পাশ থেকে একজন বিষয়টি মন্ত্রীকে জানালে তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে এর কারণ জানতে চান। এর একপর্যায়ে আ ক ম মোজাম্মেল হক বক্তব্য না দিয়ে অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করেন।

সূত্র জানায়, মন্ত্রীর অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগের পর উপজেলা আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এসময় মাহফুজার রহমান ফিলিপস (৪৩) নামে একজন আহত হন। প্রথমে তাকে উপজেলা হাসপাতাল ও পরে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সভার সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহা. রাশেদুল হক প্রধান কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি। অনুষ্ঠানে ছিলেন নীলফামারী-৩ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক গোলাম মোস্তফাও। এ ব্যাপারে চেষ্টা করে তারও কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

তবে উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দ আলী বলেন, ‘আমি  দল করি না। জামায়াতের সমর্থকও না। আমি উপজেলা পরিষদের দেওয়া আমন্ত্রণপত্র পেয়ে অনুষ্ঠানে গিয়েছি। আমাকে বক্তব্য দিতে বলা হয়েছে, তাই বক্তব্য দিয়েছি। কিন্তু এখন আমাকে পরিকল্পিতভাবে জড়ানো হচ্ছে।’

সংশ্লিষ্ঠ সূত্র জানায়, জলঢাকা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণের পেছনে এক কোটি ৮০ লাখ ৬৪ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে।