বিস্ফোরক মামলায় নব্য জেএমবি'র সদস্য গ্রেফতার

জেএমবি সদস্য আবুল কাশেম (ছবি- প্রতিনিধি)

শেরপুরের নকলা থানার চন্দ্রকোণা বাজার থেকে রাসায়নিক উদ্ধারের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার আসামি নব্য জেএমবি’র সদস্য আবুল কাশেমকে (২২) টাঙ্গাইল থেকে গ্রেফতার করেছে শেরপুর জেলা পুলিশ। রবিবার (২২ অক্টোবর) টাঙ্গাইল জেলার কালিহাতি উপজেলার এলেঙ্গা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

রবিবার রাতে শেরপুর জেলার পুলিশ সুপার মো. রফিকুল হাসান গণি তার সম্মেলন কক্ষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান। এসময় উপস্থিত সাংবাদিকদের একটি লিখিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিও দেওয়া হয়।

জেএমবি সদস্য আবুল কাশেম শেরপুরের নকলা উপজেলার চন্দ্রকোনা বাজারের মৃত শফিউল হকের ছেলে এবং চন্দ্রকোনা বাজার থেকে রাসায়নিক উদ্ধারের ঘটনায় দায়ের হওয়া বিস্ফোরক মামলার প্রধান আসামি।

প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার মো. রফিকুল হাসান গণি জানান, গোপন সংবাদ ও প্রযুক্তির মাধ্যমে জানা যায়, আজ (রবিবার) ভোরে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন জেএমবি’র একদল সদস্য নিয়ে আবুল কাশেম চাপাইনবাবগঞ্জ থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হবে। এ তথ্য পেয়ে জেলা পুলিশের একটি দল আজ সকালে কালিহাতি উপজেলার এলেঙ্গা বাস টার্মিনালে অবস্থান নিয়ে দুপুর পৌনে ১টার দিকে আবুল কাশেমকে গ্রেফতার করে। পরে তাকে শেরপুর নিয়ে এসে প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এসময় সে নব্য জেএমবি’র সদস্য হওয়ার কথা স্বীকার করে। আগামীকাল (সোমবার) তাকে আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড চাওয়া হবে বলেও জানান পুলিশ সুপার।

এসময় সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আমিনুল ইসলাম, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলামসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সংগঠনের ঊর্ধ্বতনদের নির্দেশে গত ফেব্রুয়ারি মাসে কাশেম নকলার চন্দ্রকোনায় ৬শ’ টাকায় একটি ঘর ভাড়া নেয়। এরপর মার্চ মাসের এক রাতে একটি ট্রাকে করে ১৮টি কন্টেইনারভর্তি রাসায়নিক পদার্থ নিয়ে এসে সে ওই দোকানে মজুত করে, যা দিয়ে মূলত বিস্ফোরক তৈরি করা হয়। কাশেম ও তার সহযোগীদের পরিকল্পনা ছিল, কোরবানির ঈদ এবং দুর্গাপূজায় বড় ধরনের নাশকতামূলক কাণ্ড ঘটানো। কিন্তু জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার বিশেষ নজরদারির কারণে তাদের পরিকল্পনা সফল হয়নি।

গত ৫ অক্টোবর রাতে নকলা উপজেলার চন্দ্রকোনা বাজারের তানিসা গার্মেন্টস অ্যান্ড সুজ নামের একটি দোকানের ভেতর থেকে বিস্ফোরক তৈরির ১৮টি কন্টেইনারভর্তি ৫৪০ লিটার রাসায়নিক তরল পদার্থ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ঘরের মালিক মিনারা বেগম ও ফাইজুদ্দিনকে গ্রেফতার করা হয়।