সংসদ সদস্য কেয়ার চৌধুরীর ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন

 


হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধনহবিগঞ্জ-সিলেট সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরীর ওপরে ও তার অনুষ্ঠানে হামলার ঘটনায় অস্থিরতা বিরাজ করছে হবিগঞ্জের বাহুবলে। উত্তেজনা রয়েছে দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে। হামলাকারী উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান তারা মিয়া ও জেলা পরিষদ সদস্য শাহেদকে গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এদিকে ঘটনার ২৪ ঘণ্টা অতিবাহিত হলেও থানায় কোনও মামলা হয়নি।  পুলিশও কাউকে আটক করতে পারেনি।
কেয়া চৌধুরীর ওপরে হামলা ঘটনার প্রতিবাদে, তারা মিয়া ও শাহেদকে গ্রেফতারের দাবিতে শনিবার দুপুরে মিরপুর আলিফ সোবহান চৌধুরী কলেজের সামনে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করেন।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন কলেজের অধ্যক্ষ মাহবুবুর রহমান, গভর্নিং বডির সদস্য আসকর আলী, লামাতাসি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান টেনু, প্রভাষক মাসুক আলী প্রমুখ।
বক্তারা শিগগিরই ঘটনায় নায়ক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান তারা মিয়া ও জেলা পরিষদের সদস্য আলাউর রহমান শাহেদকে গ্রেফতারে দাবি জানান। অন্যতায় বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে প্রশাসনের উদ্দেশে হুঁশিয়ারি দেন।
এদিকে বিকালে বাহুবল উপজেলা পরিষদের সামনে উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে এক প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য দেন বাহুবল উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আক্তার হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা কামান্ডার ফিরোজ মিয়া, উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক অলিউর রহমান অলি প্রমুখ। বক্তারা আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হামলাকারীদের গ্রেফতারের দাবি জানান। তারা পরবর্তীতে মহাসড়ক অবরোধসহ কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দেন।
এছাড়াও হামলাকারীদের গ্রেতারের দাবিতে মীরপুর পয়েন্টসহ বাহুবল উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বেশ কয়েকটি প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উল্লেখ্য, শুক্রবার (১০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় হবিগঞ্জের  বাহুবল উপজেলার মিরপুর বেদে পল্লিতে সরকারি সহযোগিতা প্রদানের লক্ষ্যে এমপি কেয়া চৌধুরীর একটি অনুষ্ঠান আয়োজন করে স্থানীয় প্রশাসন। অনুষ্ঠান শুরুর কিছুক্ষণ পর বাহুবল উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান তারা মিয়া ও জেলা পরিষদের সদস্য আলাউর রহমান শাহেদের নেতৃত্বে একদল লোক অনুষ্ঠানস্থলে হামলা চালান। এ সময় সংসদ সদস্য কেয়া চৌধুরীকে  লাঞ্ছিত করেন যুবলীগ নেতাকর্মীরা। এতে  কেয়া চৌধুরীসহ বেশ কয়েকজন আহত হন।
বাহুবল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুক আলী জানান,শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত এঘটনায় থানায় কোনও মামলা দায়ের করা হয়নি।তবে হামলাকারীদের গ্রেফতারের চেষ্টা করছে পুলিশ।