জনবল সংকটে খুঁড়িয়ে চলছে সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানা

Syedpur karkhana Pic (3)আধুনিকায়ন করা হলেও জনবল সংকটে খুঁড়িয়ে চলছে দেশের সর্ববৃহৎ সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানা। জনবলের অভাবে থমকে দাঁড়িয়েছে কারখানার রেল কোচ মেরামতসহ উৎপাদন কার্যক্রম।

এদিকে, জনবল নিয়োগের দাবিতে আগামী বুধবার (১৫ নভেম্বর) জাতীয় রেল শ্রমিক লীগ ইউনিয়ন রেলকারখানার সামনে মানববন্দন ও সমাবেশের আয়োজন করেছে।

সূত্র জানায়, সম্প্রতি ২৮টি শপের আধুনিকায়ন করা হয়েছে। বসানো হয়েছে নতুন নতুন যন্ত্রপাতি। যাতে ব্যয় হয়েছে ১৫৬ কোটি টাকা। কিন্তু লোকবল সংকটে মেশিনগুলো দীর্ঘদিন ধরে অকেজো হয়ে পড়ে রয়েছে।

জাতীয় রেলওয়ে শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক ও  সৈয়দপুর  উপজেলা চেয়ারম্যান মোখছেদুল মমিন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘বর্তমান সরকার উত্তরাঞ্চলের উত্তরা ইপিজেডসহ  নীলফামারীর জেলার উন্নয়নে কাজ করেছে। কিন্তু রেলওয়ে কারখানাটি জনবল সংকটে থমকে দাঁড়িয়েছে।’

train Pic (1)তিনি আরও বলেন, ‘কারখানায় ২১টি শপে মালবাহী বগিসহ (ওয়াগন) কোচের গতিশীলতা বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।’

এলাকাবাসীর দাবি, জরুরি নিয়োগসহ রেলওয়ে কারখানাটি দ্রুত চালু করা হোক। তাহলে এলাকায় হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।

জানা গেছে, ১৮৭০ সালে বিট্রিশ সরকার ১১০ একর জমির ওপর রেলওয়ে কারখানাটি প্রতিষ্ঠা করে। পরবর্তীতে ১৯৫৩ সালে কারখানায় মেশিনসপ স্থাপন করে ব্রডগেজ, মিটারগেজ ও যাত্রীবাহী গাড়ি মেরামত, রেলের যাবতীয় যন্ত্রাংশ তৈরি করার পূর্ণাঙ্গ কারখানা হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। ১৯৯১ সালে ওই কারখানায় ৫৮ হাজার লোকের কাজের সুযোগ হয়েছিল কিন্তু বর্তমানে কারখানাটি শ্রমিক সংকটে ভুগছে। কারখানায় মঞ্জুরীকৃত  ৫৬ শতাংশ লোকবল শূন্য থাকা সত্ত্বেও নতুন নিয়োগের কোনও উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না। বর্তমানে ৩৭০ জন খালাসি পদের মধ্যে কর্মরত রয়েছেন মাত্র ৯৮ জন। 

রেলওয়ে জাতীয় শ্রমিক পার্টি সৈয়দপুর শাখার সভাপতি আব্দুর রশীদ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘অধিকাংশ কর্মকর্তা-কর্মচারী অবসরে যাওয়ায় দক্ষ শ্রমিক ও কর্মকর্তা কর্মচারীর অভাবে কারখানার উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। ২০১৮ সালে ১১০ জন, ২০১৯ সালে ১২০ জন ও ২০২১ সালে ১৪৮ জন অবসরে যাবেন। ফলে আগামীতে  দেশের সর্ববৃহৎ এই কারখানায় জনবল সংকট তীব্র হয়ে উঠবে।’

আরও পড়ুন:
সরকার গুণ্ডামি করে প্রধান বিচারপতিকে অবসর গ্রহণে বাধ্য করেছে: রিজভী