২৫৩ যাত্রী নিয়ে কলকাতা যাচ্ছে বন্ধন

খুলনা স্টেশনে বন্ধন এক্সপ্রেস (ছবি- প্রতিনিধি)

২৫৩ জন যাত্রী নিয়ে খুলনা থেকে কলকাতার পথে রওনা হয়েছে কলকাতা-খুলনা-কলকাতা রুটের যাত্রীবাহী ট্রেন বন্ধন এক্সপ্রেস। বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) দুপুরে ট্রেনটি কলকাতার উদ্দেশে খুলনা স্টেশন ছেড়ে যায়।

এর আগে দুপুর ১২টায় বন্ধন এক্সপ্রেস ৫৩ জন যাত্রী নিয়ে কলকাতা থেকে খুলনা স্টেশনে আসে। পরে বেলা ২টায় কলকাতার উদ্দেশে এ স্টেশন ত্যাগ করে। এ যাত্রায় ৪৫৬ আসন-সংখ্যার ট্রেনটির ২৫৩ জন যাত্রীর সঙ্গী হন ভারতীয় রাষ্ট্রদূত হর্ষ বর্ধণ শ্রিংলা। এর আগে হর্ষ বর্ধণ শ্রিংলা বন্ধনের খুলনা থেকে কলকাতা যাত্রার উদ্বোধন করেন। এসময় তিনি বলেন, ‘ট্রেন চালুর মধ্য দিয়ে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে। বাণিজ্যের সম্প্রসারণ ঘটবে। রোগী ও বৃদ্ধদের যাতায়াতে সুবিধা হবে। অসুস্থ ও বৃদ্ধদের ভিসা সহজ করা হবে। সরাসরি ট্রেন চালুর ফলে যাত্রীদের দুর্ভোগও অনেকটা কমবে। এছাড়া ভিসা সহজ করার জন্য অচিরেই খুলনায় সহকারী ভারতীয় দূতাবাস খোলা হবে।’

খুলনা স্টেশনের মাস্টার মানিক চন্দ্র সরকার বলেন, ‘৯ নভেম্বর খুলনা-কলকাতা রুটে বন্ধন এক্সপ্রেসের যাত্রার উদ্বোধন করা হয়। আর বৃহস্পতিবার যাত্রী নিয়ে ট্রেনটি আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করে। টিকিট আগেই বিক্রি হয়েছে। দীর্ঘদিন পর এ ট্রেন চালুতে যাত্রীরা আনন্দিত। প্রথম যাত্রা হিসেবে টিকিট বিক্রি সন্তোষজনক।’

বন্ধনের যাত্রী ভারতীয় রাষ্ট্রদূত হর্ষ বর্ধণ শ্রিংলা (ছবি- প্রতিনিধি)

তিনি আরও জানান, ট্রেনে আসন সংখ্যা রয়েছে ৪৫৬টি। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার প্রথম দিনের জন্য ২৫৩টি টিকিট বিক্রি হয় এবং এই যাত্রী নিয়েই ট্রেন যাত্রা করে।

বাংলাদেশ রেলওয়ে বিভাগীয় ব্যবস্থাপক (পাকশি) অসিম কুমার তালুকদার বলেন, ‘বন্ধন এক্সপ্রেসে ১০টি কোচ রয়েছে। এর মধ্যে ইঞ্জিন ও পাওয়ারকার ২টি। বাকি ৮টি কোচে ৪৫৬টি আসনে যাত্রীর ব্যবস্থা রয়েছে। আসনগুলো সবই শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। এর মধ্যে কেবিন ১৪৪টি এবং চেয়ার ৩১২টি। এ রুটের দৈর্ঘ্য ১৭৫ কিলোমিটার। ভাড়া নির্ধারণ রয়েছে কেবিন প্রতি দুই হাজার টাকা। আর চেয়ার ১৫শ’ টাকা।’

১৯৬৫ সালে ৬ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া ১৭ দিনের পাক-ভারত যুদ্ধের পর খুলনা-কলকাতার মধ্যে চলাচলকারী যাত্রীবাহী ট্রেন বন্ধ হয়ে যায়। দীর্ঘ ৫২ বছর পর সে পথেই নতুন রূপে চালু হল যাত্রীবাহী ট্রেন।