সার্জেন্ট জাহিদ ও তার স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদের দাবি তনুর পরিবারের

তনু হত্যাকাণ্ডসোহাগী জাহান তনুর হত্যার রহস্য উদঘাটনে সার্জেন্ট জাহিদ ও তার স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদের দাবি জানিয়েছেন তনুর মা আনোয়ারা বেগম। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘তাদের বাসায় টিউশনি করতে যাওয়ার পর জঙ্গলে তনুর মরদেহ পাওয়া গেছে।’

বুধবার (২২ নভেম্বর) ঢাকার সিআইডি অফিসে তনুর মা এ দাবি জানিয়েছেন।

তনুর ভাই আনোয়ার হোসেন রুবেল বলেন, ‘বুধবার সকাল ৬টায় কুমিল্লা সেনানিবাসের বাসা থেকে সিআইডির গাড়ি যোগে ঢাকা যান তার বাবা ইয়ার হোসেন, মা আনোয়ারা বেগম, চাচাতো বোন লাইজু ও চাচাতো ভাই মিনহাজ। রুবেল ঢাকায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। তিনিও ঢাকা থেকে সিআইডি অফিসে যান।’

তিনি বলেন, ‘দিনভর পরিবারের পাঁচ জন সদস্যকে পুরনো বিষয়গুলো জিজ্ঞেস করেন ঢাকা ও সিআইডি কুমিল্লার কর্মকর্তারা।’

তনুর পরিবার জানায়, গত বছরের ২০ মার্চ সন্ধ্যায় কুমিল্লা সেনানিবাসের ভেতরে একটি বাসায় টিউশনি করতে গিয়ে আর বাসায় ফেরেনি তনু। পরে তার স্বজনরা খোঁজাখুঁজি করে রাতে বাসার অদূরে সেনানিবাসের ভেতর একটি জঙ্গলে তনুর মরদেহ পায়। পরদিন তার বাবা কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের অফিস সহায়ক ইয়ার হোসেন বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। থানা পুলিশ ও ডিবির পর গত বছরের ১ এপ্রিল থেকে মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডি কুমিল্লা। তনুর দুই দফা ময়নাতদন্তে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ফরেনসিক বিভাগ মৃত্যুর সুস্পষ্ট কারণ উল্লেখ করেনি। শেষ ভরসা ছিল ডিএনএ রিপোর্ট।

গত বছরের মে মাসে সিআইডি তনুর জামা-কাপড় থেকে নেওয়া নমুনার ডিএনএ পরীক্ষা করে তিন জন পুরুষের শুক্রানু পাওয়ার কথা গণমাধ্যমকে জানিয়েছিল। পরে সন্দেহভাজনদের ডিএনএ ম্যাচিং করার কথা থাকলেও তা করা হয়েছে কিনা এ নিয়েও সিআইডি বিস্তারিত কিছু বলছে না। সর্বশেষ সন্দেহভাজন হিসেবে তিন জনকে ২৫ অক্টোর থেকে ২৭ অক্টোবর পর্যন্ত সিআইডির একটি দল ঢাকা সেনানিবাসে জিজ্ঞাসাবাদ করে। জিজ্ঞাসাবাদ করা ব্যক্তিরা তনুর মায়ের সন্দেহ করা আসামি বলেও সিআইডি জানায়। তবে তাদের নাম জানানো হয়নি।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সিআইডি কুমিল্লার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার জালাল উদ্দীন আহমেদ বরাবরের মতো বলছেন, তনু হত্যার সঙ্গে জড়িত অপরাধীদের শনাক্ত করতে সিআইডি কাজ করে যাচ্ছে।