ড. রাশেদ জলবায়ু ও পরিবেশ বিপর্যয় রোধের লক্ষ্যে বর্জ্য জাতীয় পদার্থ ব্যবহারের মাধ্যমে নবায়নযোগ্য জ্বালানির উন্নত ব্যবহার পদ্ধতি আবিষ্কার করেন। যার ফলে বাতাসে কার্বন ডাই অক্সাইড, হাইড্রোজেন সালফাইডসহ অন্যান্য ক্ষতিকর গ্যাসের পরিমাণ হ্রাস পাবে। ফলে পরিবেশ বিপর্যয়, আর্থ সামাজিক উন্নয়ন, সর্বোপরি টেকসই উন্নয়নের জন্য নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বাড়বে।
ভাতগাথী গ্রামের বাসিন্দা ও কালীগঞ্জ মুসলিম কটন মিলস উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আব্দুর রহমান আরমান বলেন, ‘রাশেদ জলবায়ু ব্যবস্থাপনায় শ্রেষ্ঠ গবেষক হয়ে কিংডম পদক লাভ করায় আমাদের গ্রাম তথা কালীগঞ্জকে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দিয়েছে। তার এ অর্জনে আমরা খুশি। সে এ গ্রামের উজ্জ্বল নক্ষত্র। এ সাফল্যে তার প্রতি আমাদের চাওয়া-পাওয়াটাও বেড়েছে।’
উল্লেখ্য ড. রাশেদ গত বছর জাপানের কুমামোতু বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যাডভান্স টেকনোলজির ওপর পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। এছাড়া গবেষণায় সাফল্যের জন্য একই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট পদকসহ সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্রেষ্ঠ প্রকাশনা পুরষ্কার পান। তিনি গাজীপুরের কালীগঞ্জ পৌর এলাকার ৬নং ওয়ার্ডের ভাদগাতী গ্রামের মুহাম্মদ বাছেদ ও মাহ্ফুজা বেগম দম্পতির সন্তান। তিন ভাই এক বোনের মধ্যে তিনি সবার বড়। তিনি কালীগঞ্জ আর আর এন পাইলট সরকারি বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) এবং কালীগঞ্জ শ্রমিক কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পাস করেন।