‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধীদের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দিতে হবে’

ফেনী মুক্ত দিবস উদযাপন

ভোটার তালিকা থেকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধীদের নাম বাদ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন জাফর ইমাম বীর বিক্রম। তিনি মুক্তিযুদ্ধের সময় দুই নম্বর সেক্টরের রাজনগর সাব-সেক্টরের অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। বুধবার (৬ ডিসেম্বর) ফেনী মুক্ত দিবস উপলক্ষে জেলার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে আয়োজিত সমাবেশে এ দাবি জানিয়েছেন তিনি। 

এসময় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর দশম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের প্রতিষ্ঠাতা অধিনায়ক কর্নেল (অব:) জাফর ইমাম বীর বিক্রম বলেছেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধীদের নাগরিকত্ব বাতিল করতে হবে। একই সঙ্গে ভোটার তালিকা থেকেও তাদের নাম বাদ দিতে হবে। এদেরকে  ভোট দিতে ও ভোট করতে দিলে  মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযুদ্ধের  চেতনা ভূলুন্ঠিত হবে।’   

সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশে কর্ণেল (অব:) জাফর ইমাম বীর বিক্রম বলেন, ‘আমরা আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি কিংবা কোনও দলীয় রাজনীতি বুঝি না। আপনি বঙ্গবন্ধুর কন্যা, আপোষহীন ভূমিকা পালন করছেন। যারা মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে বিকৃত করে তাদের রাজনীতি নিষিদ্ধ করবেন কিনা সেই সিদ্ধান্ত আপনার ও আপনার সরকারের।’

জেলা প্রশাসন আয়োজিত এ সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন সাবেক অমলা আলাউদ্দিন চৌধুরী নাসিম, ফেনী-২ আসনের সাংসদ নিজাম উদ্দিন হাজারী, মাহিলা সাংসদ জাহানারা বেগম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক দেবময় প্রমুখ।

ফেনী মুক্ত দিবস উদযাপন

ফেনী মুক্ত দিবস উপলক্ষে বুধবার সকাল হতে ফেনীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে সমবেত হতে থাকে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন। বেলা ১১টায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন, শপথ বাক্য পাঠ ও একমাত্র  বক্তা হিসাবে ফেনী অঞ্চলের মুক্তিবাহিনীর অধিনায়ক জাফর ইমাম ববীর বিক্রম বক্তব্য রাখেন।

এরপর ‘উড়াই বিজয় নিশান’ নামে এক বর্ণাঢ্য র‌্যালিতে অংশ নেন স্থনীয় জনতা। র‌্যালিতে হাতে হাতে জাতীয় পতাকা উড়িয়ে দিনটি উদযাপন করেছেন তারা। র‌্যালি শেষে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে আলোচনা সভা এবং মুক্তিযোদ্ধাদের সংবধর্না দেওয়া হয়েছে। 

উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদারদের হাত থেকে  ফেনী মুক্ত হয়। তবে এ অঞ্চলে পাকিস্থানি সেনারা প্রথম আত্মসমর্পন করেছিল ফেনীর বিলোনিয়ায়। ১০ নভেম্বর পাকিস্তান সেনাবাহিনীর দু’জন অফিসারসহ ৭২ জন সৈনিক আত্মসমর্পণ করেছিল। সেই যুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) জাফর ইমাম বীর বিক্রম।