জানা গেছে, বোরো ফসলহানির পর অনেক কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন নেত্রকোনা জেলার খালিয়াজুরী উপজেলার মানুষ ও কয়েক হাজার কৃষক পরিবার। গেল বন্যায় জেলার ১৩৪টি হাওরের বোরো ধানের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। এতে শতভাগ ক্ষতির সম্মুখীন হয় খালিয়াজুরীর কৃষকরা। তারা এক মুঠো ধানও ঘরে তুলতে পারেননি। অন্যান্য বছরের এই সময়ে কৃষকরা মনের আনন্দে বীজতলা তৈরি করতেন এবং কৃষাণীরা বিভিন্ন স্বাদের পিঠা তৈরিতে ব্যস্ত থাকতেন। কিন্তু গত বন্যায় ফসল তুলতে না পারায় এ বছর তাদের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে। তারপরও দুশ্চিন্তা নিয়ে বীজতলা তৈরির কাজ করছেন তারা। হাতে টাকা নেই, ঘরে খাদ্য নেই, একদিন চললে আর একদিন চলে না অবস্থা। এরপরও ধার করে তারা বীজতলা তৈরি করছেন।
জানা গেছে, কৃষকদের এ অসহায়তার সুযোগ নিয়ে এক শ্রেণির অসাধু ব্যক্তি বেশি দামে বীজ ধান বিক্রি করছেন। সরকারের পক্ষ থেকেও এ অঞ্চলের প্রান্তিক ১৯ হাজার কৃষকের প্রত্যেককে এক বস্তা সার, ১০ কেজি বীজ ধান এবং এক হাজার টাকা করে সহায়তা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু অনেক কৃষক সরকারের এই সহায়তা পাননি।
জগন্নাথপুরের কৃষক শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘সরকারের পক্ষ থেকে যে পরিমাণ বীজ দেওয়া হয়েছে তার তুলনায় আমাদের জমি অনেক বেশি। ওই বীজ ধান দিয়ে কিছুই হবে না। অর্থাৎ সরকারি প্রণোদনা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল।’
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদদফতরের উপ-পরিচালক বিলাশ চন্দ্র পাল বলেন, ‘যদি কোনও ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হয় তাহলে এবার বাম্পার ফলন হবে। এ জন্য জেলা কৃষি বিভাগ কৃষকদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে।’
আরও পড়ুন:
‘টাকার অভাবে আ. লীগের অনেক নেতা সন্তানদের বিয়ে দিতে পারেন না’