হিলিতে ট্রেন ট্র্যাজেডি দিবস পালিত

হিলি ট্রেন ট্র্যাজেডি দিবস পালিত দিনাজপুরের হিলিতে কালো ব্যাজ ধারণ, স্মরণ সভা ও নিহতদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া মাহফিলের মাধ্যমে ‘হিলি ট্রেন ট্র্যাজেডি দিবস’ পালিত হয়েছে। শনিবার বিকাল ৫টায় হিলি রেলওয়ে একতা ক্লাবের আয়োজনে রেলওয়ে স্টেশন চত্বরে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।

এসময় বক্তারা বলেন, ২৩ বছর আগে ১৯৯৫ সালের এই দিনে হিলি রেলওয়ে স্টেশনে ট্রেন দুর্ঘটনায় তিনটি বগি দুমড়ে গিয়ে ২৭ জন মানুষের মৃত্যু হয়। সরকারিভাবে মৃতের সংখ্যা ২৭ বলা হলেও স্থানীয়দের দাবি, ওই ঘটনায় অন্তত শতাধিক ব্যক্তি নিহত হয়েছে।

হিলি রেলওয়ে একতা ক্লাবের সভাপতি আমজাদ হোসেনের সভাপতিত্বে কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান আকরাম হোসেন মণ্ডল, ভাইস চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম, পৌর মেয়র জামিল হোসেন চলন্ত, উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এমদাদুল হক চৌধুরী, সাবেক মেয়র কামাল হোসেন রাজ, পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আতাউর রহমান কাজল প্রমুখ।

হিলি রেলওয়ে স্টেশন কার্যালয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৫ সালের ১৩ জানুয়ারি শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টায় ক্রসিংয়ের জন্য হিলি রেলওয়ে স্টেশনের এক নম্বর লাইনে দাঁড়িয়েছিল গোয়ালন্দ-পার্বতীপুরগামী ৫১১ নম্বর লোকাল ট্রেনটি।  কিন্তু দায়িত্বরত স্টেশন মাস্টার ও পয়েন্টস ম্যানের অবহেলায় ভুল সংকেতের কারণে সেই এক নম্বর লাইনেই ঢুকে পড়ে সৈয়দপুর থেকে ছেড়ে আসা খুলনাগামী ৫৪২ নম্বর সৈয়দপুর-খুলনাগামী আন্তঃনগর সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেনটি। ফলে দুইটি ট্রেনের মুখোমুখি সংষর্ষের ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনায় বিকট শব্দে পুরোপুরি দুমড়ে মুচড়ে যায় লোকাল ট্রেনটির ইঞ্জিনসহ তিনটি বগি। পরে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার লোকজন ও স্থানীয়রা দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতদের উদ্ধার করেন। দুর্ঘটনার পরের দিন ১৪ জানুয়ারি দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতদের ক্ষতিপুরণের আশ্বাস দেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়। কিন্তু ২৩ বছর পরেও আহত ও নিহতদের অনেক পরিবার ক্ষতিপূরণের সেই টাকা পায়নি।  তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনও আলোর মুখ দেখেনি।