সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, সেতুর অভাবে খাগড়াছড়ির মাটিরাঙা পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের বড়ঝালা, মোহাম্মদপুর, মিস্ত্রিপাড়া, আটবাড়িসহ পাঁচটি গ্রামের সাত হাজার মানুষ দুর্ভোগে আছেন। উপজেলা সদর থেকে ওই গ্রামগুলোর দূরত্ব মাত্র এক কিলোমিটার হলেও ধলিয়া খালের ওপর সংযোগ সেতু না থাকায় বর্ষাকালে বিছিন্ন হয়ে যায় পাঁচটি গ্রাম।
জানা গেছে, ১৬ বছর আগে মাটিরাঙা উপজেলা সদর পৌরসভা হলেও উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি এসব গ্রামগুলোতে। স্থানীয় পৌর কাউন্সিলরের উদ্যোগে খালের ওপর একটি সাঁকো থাকলেও সেটি বর্ষার সময় পানির নিচে থাকে। শুষ্ক মৌসুমে তাই স্থানীয়দের উদ্যোগে চলাচলের জন্য ধলিয়া খালের ওপর অস্থায়ী সেতু নির্মাণে স্বেচ্ছাশ্রমে কাজ করছেন গ্রামবাসী। এই কর্মযজ্ঞে অংশগ্রহণ করেছেন ২-৩ গ্রামের শতাধিক মানুষ।
বড়ঝালা গ্রামের কৃষক হেমন্ত ত্রিপুরা জানান, তাদের এলাকায় উৎপাদিত ফসল শুধু শীত মৌসুমে বিক্রি করা যায়। বর্ষা মৌসুমে উৎপাদিত ফসল বিক্রি করা যায় না। কারণ সেতু না থাকায় পণ্য বাজারে নেওয়া সম্ভব হয় না।
মাটিরাঙা পৌরসভার কাউন্সিলর আবুল হাশেম ভুঁইয়া বলেন, ‘সংযোগ সেতুর অভাবে কৃষকরা উৎপাদিত পণ্য বাজারজাত করতে পারেন না। ফলে তারা পণ্যের ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। তাই দ্রুত ধলিয়া খালের ওপর একটি স্থায়ী সেতু নির্মাণ করতে সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’
মাটিরাঙা উপজেলা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী আনোয়ারুল হক বলেন, ‘স্থানীয় সংসদ সদস্যের চাহিদার ভিত্তিতে ধলিয়া খালের ওপর সংযোগ সেতু নির্মাণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।’
খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো. রাশেদুল ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যে মাটিরাঙা উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা চেয়ারম্যান, পৌরসভা মেয়র এবং এলজিইডির প্রকৌশলীর সঙ্গে কথা বলেছি। চলতি বছরেই সেতুটি নির্মাণ করা হবে বলে স্থানীয় প্রশাসন আমাকে জানিয়েছে।’
আরও পড়ুন:
মৌসুমেও ফেনীতে সবজির দাম চড়া