রূপনগর খালের চারপাশে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশ

আদালতরাজধানীর রূপনগর খালের চারপাশে গড়ে ওঠা সব অবৈধ স্থাপনা আগামী এক মাসের মধ্যে উচ্ছেদের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে খালটির মূল নকশা ঠিক রেখে জনসাধারণের চলাচলের জন্য রাস্তা রাখতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রবিবার (২১ জানুয়ারি) বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। শুনানির সময় রাষ্ট্রপক্ষে উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তাপস কুমার বিশ্বাস।

আদালতের এই আদেশ বাস্তবায়ন হয়েছে কিনা সে বিষয়ে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্টদের আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি প্রতিবেদন দাখিলের মাধ্যমে হাইকোর্টকে অবহিত করার নির্দেশও দিয়েছেন আদালত।

এর আগে গত অক্টোবর রূপনগর খাল নিয়ে একটি জাতীয় দৈনিকে দুটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এসব প্রতিবেদন আমলে নিয়ে গত ২৬ অক্টোবর হাইকোর্ট এক আদেশে এসব খাল দখলমুক্ত করতে কি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা প্রতিবেদন আকারে অবহিত করতে ঢাকার জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দেন।

এর পরিপ্রেক্ষিতে ২১ নভেম্বর রূপনগর খাল নিয়ে হাইকোর্টে প্রতিবেদন দাখিল করেন ঢাকার জেলা প্রশাসন। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, বার বার দখলমুক্ত করা হলেও আবারও অবৈধ দখলদারদের কবলে চলে যাচ্ছে ঢাকার খালগুলো। অবৈধ দখলদারদের ঠেকাতে রাজধানীর খালগুলো খনন করে বৃক্ষরোপণসহ ওয়াক-ওয়ে নির্মাণের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে ঢাকা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে।

ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, রূপনগর খালটি দু’টি অংশে বিভক্ত। এর একটি অংশ রূপনগর খাল (আরামবাগ খাল) এবং অন্য অংশটি রূপনগর খাল (নিম্ন অংশ) নামে পরিচিত। খালটি জাতীয় গৃহায়ন ও গণপূর্ত কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অধিগ্রহণকৃত হলেও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ঢাকা ওয়াসা বরাবর হস্তান্তর করা হয়েছে। 

প্রতিবেদনে বলা হয়, মোহাম্মদপুর সার্কেলের রূপনগর খালের নিম্নঅংশে দুয়ারীপাড়া মৌজার মহানগর ৭০১ নম্বর দাগে প্রায় ৩০-৪০ ফুট প্রস্থ এবং ৭০০ ফুট দৈর্ঘ্যের নিম্নভূমিকে খাল হিসেবে নির্ধারণ করা আছে। এর ধারাবাহিকতায় উত্তর অংশে ৩০-৪০ ফুট প্রস্থ ও ১৫০ ফুট দৈর্ঘ্যে আরএস রেকর্ড মোতাবেক খাল থাকলেও মহানগর রেকর্ডে ব্যক্তি মালিকানায় রেকর্ডভুক্ত হয়েছে। যা সরেজমিনে ভরাটকৃত অবস্থায় রয়েছে।