বাঘ পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি

আক্রমণকারী বাঘকে হত্যার পর ঝুলিয়ে রেখেছে গ্রামবাসীরা (ছবিঃ কামরুল হাসানের ফেসবুক থেকে নেওয়া)

লোকালয়ে ঢুকে পড়া সুন্দরবনের রয়েল বেঙ্গল টাইগার (বাঘ) পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে বনবিভাগ সদর সার্কেলের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) মেহেদী জামানকে সভাপতি করে এই কমিটি গঠন করা হয়।

চাঁদপাই রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ)শাহিন কবিরকে তদন্ত কমিটির সদস্য সচিব করা হয়েছে। এছাড়া কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, ধানসাগর স্টেশনের এসও হুমায়ুন কবির, জিউধরা স্টেশনের এসও শাজাহান মোল্লা ও গুলিশাখালী ফরেস্ট ক্যাম্পের তদন্ত কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম।

তদন্ত কমিটিকে আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পেলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মাহমুদুল হাসান নিশ্চিত করেছেন।

ডিএফও মাহমুদুল হাসান আরও বলেন, মঙ্গলবার বিকেলে মৃত বাঘটির ময়না তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। এরপর বাঘটির মৃতদেহ ফরেস্ট ক্যাম্পের পাশে মাটিতে পুতে ফেলা হয়েছে। সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের পাশেই মোরেলগঞ্জ উপজেলা। শীত মৌসুমে সুন্দরবনের পাশের ভোলা নদীতে পানি কম থাকায় বাঘটি সোমবার রাতের কোনও এক সময়ে লোকালয়ে ঢুকে পড়েছিল বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত,বাঘটি মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৬টার দিকে সুন্দরবন থেকে প্রায় ৬ কিলোমিটার দূরে লোকালয়ে নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের গুলিশাখালী গ্রামের একটি মৎস্য ঘেরে ঢুকে দুই ব্যক্তিকে আক্রমণ করে।এসময়  এলাকাবাসী বাঘটিকে পিটিয়ে হত্যা করে। বাঘের আক্রমণে গুলিশাখালী গ্রামের ছাব্বির সরদার (২২), আলামীন গাজী (২৫),মাসুম দলাল (৩০) ও ভিটিআরটি সদস্য মজিবর সরদার আহত হন। তাদের মধ্যে গুরুতর আহত মাসুম দলাল খুলনায় হাসপতালে চিকিৎসাধীন আছেন। খবর পেয়ে ভিলেজ টাইগার রেসপন্স টিমের (ভিটিআরটি)কর্মীরা নিহত বাঘটিকে উদ্ধার করে নিশানবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে যান। পরে গুলিশাখালী ফরেস্ট স্টেশন কর্মকর্তা শেখ খায়রুল ইসলাম ঘটনাস্থলে পৌঁছে সাড়ে ৬ ফুট লম্বা বাঘটির মরদেহ জিউধরা ফরেস্ট ক্যাম্পে নিয়ে যান।

 আরও পড়ুন: গৃহবধূকে এসিড নিক্ষেপের দায়ে তিন জনের কারাদণ্ড