সুনামগঞ্জে তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ

ধর্ষণসুনামগঞ্জের তাহিরপুর জয়নাল আবেদীন কলেজের একাদ্বশ শ্রেণির প্রথম বর্ষের ছাত্র রিমন হোসেনের (১৯) বিরুদ্ধে তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবা ও স্বজনদের অভিযোগ, শুক্রবার বিকাল তিনটার দিকে সদর ইউনিয়নের উজান তাহিরপুর গ্রামের রিমন হোসেন প্রলোভন দেখিয়ে ওই ছাত্রীকে খেলার মাঠ থেকে ডেকে নিজের ঘরে নিয়ে যায়। পরে সেখানে তাকে পাশবিক যৌন নির্যাতন করে। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে গুরুতর অসুস্থ আবস্থায় তাকে প্রথমে তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সব শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য মেয়েটিকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত ডাক্তার বেঞ্জামিন গোমেজ জানান, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে মেয়েটিকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বলেন,  ‘শুক্রবার সন্ধ্যায় মেয়েটিকে সদর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তখন তার প্রচণ্ড রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। তাই উন্নত চিকিসার জন্য তাকে সিলেটে পাঠানো হয়েছে।’

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. হাবিবুল্লাহ বলেন, ‘বিষয়টি আমি মৌখিকভাবে জেনেছি। সে অনুযায়ী তাহিরপুর থানা পুলিশকে অভিযুক্তকে আটকের নির্দেশনা দেওয়া হয়। পরে রাতেই পুলিশ অভিযুক্তকে আটক করেছে বলে জানতে পেরেছি।’

নির্যাতনের শিকার মেয়েটির বড় চাচী জানান, নির্যাতনকারী রিমন হোসেন জয়নাল আবেদীন কলেজের একাদশ শ্রেণির প্রথম বর্ষের ছাত্র।’ তবে তাহিরপুর জয়নাল আবেদীন কলেজের অধ্যক্ষ ফনী ভুষণ সরকার বলেন, ‘রিমন হোসেন কলেজের ছাত্র কিনা তা এখনই বলা সম্ভব হচ্ছে না। হাজিরা খাতা দেখে বিষয়টি বলা সম্ভব হবে।’

এ বিষয়ে তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নন্দন কান্তি ধর বলেন, ‘ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় শুক্রবার রাতেই মেঘালয় পাহাড় সংলগ্ন চরগাঁও গ্রাম থেকে রিমন হোসেনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।’

আরও পড়ুন:
ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে আহত সাংবাদিক মাসুদ আলম