রাজশাহীতে মুক্তিযোদ্ধার জমি জালিয়াতির মাধ্যমে দখলের চেষ্টার অভিযোগ

rajshahiরাজশাহী মহানগরীর রাজপাড়া থানার চন্ডিপুর এলাকায় এক মুক্তিযোদ্ধার প্রায় সাড়ে ১৫ কাঠা জমি জালিয়াতির মাধ্যমে দখলের চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজশাহী প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান শাহজাদা সামাদ। লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, তার বাবা মৃত মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সামাদ ১৯৭৫ সাল থেকে রাজশাহী মহানগরীর চন্ডিপুর মৌজায় বসবাস করে আসছেন। ১৯৮৭ সালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। বাড়িটি অনেক পুরনো হওয়ায় এবং যাতায়াতের রাস্তা পুকুরে ভেঙে যাওয়ায় বছর তিনেক আগে ওই বাড়ি থেকে তারা একই এলাকায় অন্য বাড়িতে বসবাস শুরু করেন। সম্প্রতি এলাকার মৃত আবুল কাশেমের ছেলে মিসকী আলম জমি জালিয়াতচক্রের সহযোগিতায় জাল দলিল, জাল জাবেদা নকল ও ভুয়া ডিক্রির জাল জাবেদা নকল তৈরি করে ভূমি অফিসে খারিজের আবেদন করেছেন।

শাহজাদা সামাদ বলেন, ‘খবর পেয়ে গিয়ে আমরা মিসকীর দরখাস্তের সঙ্গে দাখিল দলিলের ফটোকপিতে দেখতে পাই বাগমারার মৃত মহিরুদ্দিনের স্ত্রী সমেজান বেওয়ার নামে ১৯৬১ সালে জমিটি কেনা দেখানো হয়েছে। যার দলিল নম্বর ৭১১১। কিন্তু আমরা ১৯৬১ সালের ৭১১১ নম্বর দলিল রেজিস্ট্রি অফিসে গিয়ে দেখতে পাই তা দুর্গাপুরের সোনার জান বিবির নামে কেনা। অর্থাৎ, মিসকী সমেজান বেওয়ার নামে ক্রয়কৃত যে দলিল দাখিল করেছেন তা ভুয়া।’

শাহজাদা সামাদ আরও বলেন, ‘জালিয়াত চক্রের হোতা মিসকী দাবি করেন, তাদের পক্ষে ডিক্রি আছে। সেই ডিক্রির বলে তারা জাবেদা নকল তুলেছেন এবং তা সংশ্লিষ্ট দফতরে জমি খারিজের জন্য দাখিল করেছেন। কিন্তু জেলা প্রশাসনের সদর রেকর্ড কক্ষ থেকে ‘সন্ধান জানিবার দরখাস্তে’ আমাদের জানানো হয়েছে ওই নামে কোনও জাবেদা নকল অফিস থেকে দেওয়া হয়নি। অর্থাৎ, জাবেদা নকলের যে কপিটি মিসকী সমেজান বেওয়ার নামে দাখিল করেছেন, সেটিও জাল।’

সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, আগেও মিসকী ভুয়া কাগজ তৈরি করে চন্ডিপুর প্রেস ক্লাবের পেছনে অবস্থিত ‘আব্বাস মঞ্জিল’ নামের গণপূর্ত বিভাগের একটি বাড়ি দখল করেন। ওই বাড়ি নিয়ে গণপূর্ত বিভাগের সঙ্গে তার মামলা এখনও চলছে। সংবাদ সম্মেলন থেকে সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলের সহযোগিতা কামনা করে এই মুক্তিযোদ্ধা পরিবার।

সংবাদ সম্মেলনে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান শাহজাদা সামাদ ছাড়াও রাজপাড়া থানা সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার শুকুর উদ্দিন ও সদস্য সচিব মুক্তিযোদ্ধা শেখ মজিবর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এই অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চেয়ে মিসকী আলমের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।