তিতাসের জলে গঙ্গাস্নানে শুদ্ধতার প্রত্যাশা

তিতাস নদীতে গঙ্গাস্নানে ভক্ত-পুণ্যার্থীদের ঢলআনন্দঘন পরিবেশের মধ্য দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের তিতাস নদী ও আখাউড়া উপজেলার খরমপুর তিতাস নদীতে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ঐতিহ্যবাহী গঙ্গাস্নান। শত বছরের প্রাচীন এই লোকাচারে অংশ নেন কয়েক হাজার মানুষ।
গঙ্গাস্নানকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার (১৫ মার্চ) ভোরের আলো ফোটার আগে থেকেই ভক্ত-পুর্ণ্যার্থীরা জড়ো হতে থাকেন তিতাস নদী তীরে। ভোরের আলো ফুটলে শুরু হয় গঙ্গাস্নানের আনুষ্ঠানিকতা। এ সময় ভক্তরা পিতৃপুরুষের বিদেহী আত্নার শান্তি কামনা করেন, নদীর তীরে বসে পুরোহিতের মাধ্যমে তর্পণ করে পবিত্র মন্ত্র জপ করেন। শুদ্ধতার প্রত্যাশা নিয়ে শতবর্ষী প্রাচীন এই লোকাচারে অংশ নেন তারা।
গঙ্গাস্নান উপলক্ষে বসেছে লোকজ মেলাব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তর্পণ কাজে নিয়োজিত পুরোহিত নিমাই চক্রবর্তী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, প্রতিবছর ফাল্গুন মাস শেষে ও চৈত্র মাসের আগমনী মুহূর্তে মধুকৃষ্ণা ত্রৈয়দশীতে এই গঙ্গাস্নান হয়ে থাকে। হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী পবিত্র জলে গঙ্গাস্নান করলে দেহের পাপ মোচন হয়, আরোগ্য লাভের পাশাপাশি পরিবারে স্বস্তি আসে। এমন প্রত্যাশা থেকেই ভক্তরা দলে দলে গঙ্গাস্নানে অংশ নেন বলে জানান তিনি।
এদিকে, গঙ্গাস্নানকে কেন্দ্র করে তিতাস নদীর পাড়ে বসেছে লোকজ মেলা। মেলায় বিভিন্ন ধরনের মণ্ডা-মিঠাই, হাওয়াই মিঠাই, নাড়ুসহ বিভিন্ন খাবারের দোকান বসেছে। এছাড়া নাগরদোলা, মাটির খেলনা, তৈজসপত্রসহ শিশুদের খেলনার দোকানও রয়েছে মেলায়।
মেলায় বসেছে শিশুদের বিভিন্ন ধরনের খেলনার দোকানগঙ্গাস্নানকে ঘিরে শুক্রবার সকাল থেকেই ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানা পুলিশ এবং আখাউড়া থানা পুলিশের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নবীর হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে গঙ্গাস্নান উৎসব এবং মেলা শেষ হয়েছে। সুষ্ঠুভাবে এই আয়োজন সম্পন্ন হওয়ার জন্য আয়োজকসহ সবাইকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
আরও পড়ুন-
দেশে নির্বাচনের কোনও পরিবেশ নেই: মির্জা ফখরুল

মন্ত্রীর বক্তব্য চলাকালে শর্টসার্কিট, পদদলিত হয়ে আহত ১৫