নলকা সেতুর গার্ডারে ফাটল, সিঙ্গেল লেনে ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন

ধীর গতির কারণে সেতুতে যানজট, ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে যান চলাচল

আশি’র দশকে সিরাজগঞ্জের ফুলজোর নদীর ওপর নির্মিত হয়েছে ‘নলকা’ সেতু। এরপর থেকে তেমন কোনও সংস্কার কাজ হয়নি সেতুতে। সম্প্রতি সেতুর জয়েন্ট-এক্সপানশনে ফাটল দেখা দিয়েছে। এ ফাটল ঠিক করার আগেই শুক্রবার (২৩ মার্চ) বিকালে সেতুর গার্ডারেও ফাটল ধরা পড়েছে। ফলে ঢাকার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের যোগাযোগ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। 

জানা যায়, সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের এ সেতুর গার্ডারে ফাটল ধরা পড়ার পর থেকে সেতুতে সিঙ্গেল লেন দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলাচল করছে। ফলে সড়কে ধীর গতির কারণে বিপাকে পড়েছেন ঢাকা ও উত্তরাঞ্চলগামী যাত্রীরা। বন্ধ রয়েছে ভারী যানবাহন চলাচল।

স্থানীয়রা জানায়, নলকা সেতুর ওপর ভঙ্গুর জয়েন্ট-এক্সপানশনের কারণে গত প্রায় এক দশক ধরেই বিড়াম্বনায় শেষ নেই সেখানে। সওজ-বিভাগ জোড়াতালি দিয়ে ভঙ্গুর জয়েন্ট-এক্সপানশন মেরামত ও সংস্কার করে উঠতে না উঠতেই এবার সেতুর নিচে গার্ডারে ফাটল দেখা দিয়েছে। বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম পাড়ে ঢাকা ও উত্তরাঞ্চলের সঙ্গে যোগাযোগের ব্যস্ততম সড়ক সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুল-মহাসড়কের ওপর এ ব্রিজের গার্ডারে ফাটল দৃশ্যমান হওয়ায় চলাচলকারী যানবাহনগুলোকে সওজ থেকে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। সেতুর ওপরে সিঙ্গেল লেন দিয়ে পারাপার হতে হচ্ছে। এ কারণে সেতুর দু’পাশে শত শত যানবাহন আটকা পড়েছে। 

ধীর গতির কারণে সেতুতে সৃষ্টি হয়েছে যানজট, ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে যান চলাচল

এ ব্যাপারে সিরাজগঞ্জ সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের (সওজ) উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী জহুরুল ইসলাম বলেন, ‘শুক্রবার বিকাল ৫টার দিকে সেতুর পূর্ব অংশের একটি গার্ডারে ফাটলের বিষয়টি নজরে আসে। এরপর থেকেই সেতুর এক লেন দিয়ে যানবাহন চলাচল করছে।’ অস্থায়ীভাবে ফাটল মেরামতের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।

নির্বাহী প্রকৌশলী ড. আহাদ উল্লাহ জানান, সেতুটি সংস্কারে একটি টিম কাজ শুরু করবে। আশির দশকে তৈরি এ সেতুটি দীর্ঘদিন আগে ঝুকিপূর্ণ ঘোষণা করা হলেও এর ওপর দিয়েই যানবাহন চলাচল অব্যাহত রয়েছে।

হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানি বলেন, ‘উত্তর-দক্ষিণাঞ্চলের ২৪ জেলার সঙ্গে সড়কপথে ঢাকায় যোগাযোগের জন্য একমাত্র মহাসড়কের ওপর এ ব্রিজটি। এই ব্রিজ দিয়ে সব ধরনের যানবাহন যাতায়াত করে থাকে। সেতু দিয়ে এক লেনে যানবাহন চলাচল করায় মহাসড়কে গাড়ি চলাচলের গতি কমে গেছে। এ অবস্থা দীর্ঘ মেয়াদী হলে বড় ঝামেলা পোহাতে হবে। ইতোমধ্যেই সেতুর ওপর দিয়ে ২৪ টনের অতিরিক্ত মালবোঝাই যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এক লেনেই চলছে যাত্রীবাহী যানবাহন।’