বজ্রাঘাতে সারাদেশে ৪ জনের মৃত্যু

বজ্রাঘাতবজ্রাঘাতে সারাদেশে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে ময়মনসিংহে দুইজন, ঝিনাইদহে একজন ও নেত্রকোনায় একজন। আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর : 

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি জানান, ময়মনসিংহে বজ্রপাতে স্কুলছাত্রীসহ দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। তারা হলো সদর উপজেলার কিসমত গ্রামের কৃষক আব্দুল আজিজ মিয়া (৫৫) ও ঈশ্বরগঞ্জের উচাখিলা গ্রামের স্কুলছাত্রী আফরোজা খাতুন(১৪)। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ জানায়, সদর উপজেলার খাগহির ইউনিয়নের কিসমত গ্রামের কৃষক আব্দুল আজিজ মিয়া ধানক্ষেত থেকে বাড়ি ফেরার পথে বজ্রপাতে আক্রান্ত হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। অপরদিকে ঈশ্বরগঞ্জের উচাখিলা গ্রামের আফরোজা খাতুন ঝড় শুরু হলে মাঠে ছাগল আনতে গেলে বজ্রপাতের শিকার হয়ে ঘটনাস্থলে মারা যায়। আফরোজা স্থানীয় কালিবাজার উচ্চবিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্রী। স্কুলছাত্রী মারা যাওয়ার খবর নিশ্চিত করেছেন ঈশ্বরগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) গোলাম মাওলা।

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি জানান, সদর উপজেলার বাজারগোপালপুর গ্রামে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বজ্রাঘাতে শাহাজান আলী মণ্ডল (৬৫) মারা যান। তিনি একই গ্রামের মৃত ফকির চাঁদ মণ্ডলের ছেলে।

স্থানীয় চেয়ারম্যান ফারুক আহম্মেদ জুয়েল জানান, শাহাজান আলী মণ্ডল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে নওদাপাড়া মাঠে মরিচের চারা রোপণ করে বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় বজ্রপাতে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান।

বাজারগোপালপুর পুলিশ ক্যাম্পের ক্যাম্প ইনচার্জ মনির উদ্দীন এ খবর নিশ্চিত করেছেন।

নেত্রকোনা প্রতিনিধি জানিয়েছেন, নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলায় বজ্রাঘাতে হাবুল মিয়া (৩৮) নামে একজন মারা যান। বৃহস্পতিবার বিকালে কান্দিউড়া ইউনিয়নের তেতুলিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। তিনি উপজেলার তেতুলিয়া গ্রামের মৃত চানফর আলীর ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মাঠে গরু আনতে গেলে সেখানে হঠাৎ বজ্রপাতে তিনি আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করে।

কেন্দুয়া থানার ওসি স্বপন চন্দ্র সরকার বলেন, ‘হাবুল মিয়া তার ভাইকে সঙ্গে নিয়ে মাঠে গরু আনতে গিয়েছিলেন। তখন বজ্রপাতে দুটি গরুসহ তার মৃত্যু হয়েছে।’