লক্ষ্মীপুরের জেলা ও দায়রা জজ আদলতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট আবুল কালাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, রায় দেওয়ার সময় আদালতে ১৪ আসামির মধ্যে পাঁচ জন উপস্থিত ছিলেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১১ সালের ২ জুলাই রাতে সদর উপজেলার উত্তর হামছাদী ইউনিয়নের কাজীর দীঘির পাড় এলাকার কার্তিক পালের ঘরে সংঘবদ্ধ ডাকাতদল হানা দেয়। তারা ঘরের দরজা ভেঙে ডাকাতির চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে পরিবারের সদস্যরা বাধা দিলে কলেজ ছাত্র দীপ্ত পালের বুকে অস্ত্র ঠেকিয়ে গুলি করে ডাকাতরা। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান দীপ্ত। এসময় গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন দীপ্ত’র চাচা সঞ্জয় পাল।
এ ঘটনায় নিহত দীপ্ত’র বাবা কার্তিক পাল পরদিন ৩ জুলাই ১৪ জনকে আসামি করে লক্ষ্মীপুর সদর থানায় হত্যা ও ডাকাতি মামলা দায়ের করেন। পুলিশ ২০১৩ সালের এপ্রিল মাসে ১৪ জনকেই অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। পরে আদালত দীর্ঘ শুনানিতে ২২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে এ রায় দেন।
মামলার বাদী কার্তিক পাল এ রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে জানান, এ রায় বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে।