আটকরা হলেন- বেলপুকুর থানার পশ্চিম জামিরা গ্রামের আবু বকর সিদ্দিকের ছেলে রাজু আহমেদ (২৪), জামিরা গ্রামের আক্কাছ আলীর ছেলে জাহাঙ্গীর আলম (৩৬) ও একই গ্রামের আকতার আলীর ছেলে ফরহাদ হোসাইন (৩০)।
বিষয়টি নিশ্চিত করে র্যাব-৫ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মাহাবুবর রহমান জানান, জঙ্গি কার্যক্রমে জড়িত থাকার অভিযোগে রবিবার (২২ এপ্রিল) রাত ৮টার দিকে পুঠিয়া উপজেলার বানেশ্বর বাজার থেকে প্রথমে রাজু আহমেদকে আটক করা হয়। এরপর তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী জামিরা গ্রামে অভিযান চালিয়ে ফরহাদ ও জাহাঙ্গীরকে আটক করা হয়েছে।
র্যাবের এই কর্মকর্তা আরও জানান, আটকের সময় রাজুর কাছ থেকে দুটি মুঠোফোন ও তিনটি সিমকার্ড জব্দ করা হয়েছে। আর ফরহাদের কাছ থেকে দুটি জিহাদি বই, একটি মুঠোফোন, দুটি সিমকার্ড ও একটি জাতীয় পরিচয়পত্র জব্দ করা হয়েছে। এছাড়া জাহাঙ্গীরের কাছ থেকে জব্দ করা হয়েছে আরও তিনটি জিহাদি বই, তিনটি জিহাদি লিফলেট ও একটি করে মুঠোফোন, সিমকার্ড, মেমোরি কার্ড এবং জাতীয় পরিচয়পত্র।
লে. কর্নেল মাহাবুবর রহমান আরও বলেন, ‘তাদের বিশাল পরিকল্পনা ছিল। জঙ্গিবিরোধী কাজ করছে, র্যাব-পুলিশকে জঙ্গিদের ধরিয়ে দেওয়ার সহায়তা করছে- এমন তিন-চার ব্যক্তিকে হত্যা করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিল এরা। এর আগে ব্যাংকের সামনে থেকে রহমান জুট মিলের ম্যানেজার ও গোদাগাড়ীতে র্যাবের পোশাক পড়ে ছিনতাই হয়েছিল। সেই ছিনতাইয়ে এদের সদস্যরা জড়িত ছিল। তারা তাদের যে সব সদস্য গ্রেফতার হয়ে আছে তাদের ছাড়িয়ে আনা এবং তাদের পরিবারকে অর্থ দিয়ে সহযোগিতা করার জন্য তারা ডাকাতি ও ছিনতাই করে।’
তিনি বলেন, ‘আটক ব্যক্তিদের রিমান্ডের আবেদন করে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। সেই সঙ্গে নগরীর বেলপুকুর থানায় র্যাবের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করা হবে। পরে তাদের পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে।’