বাংলাদেশ আজ উন্নয়নশী দেশের কাতারে এটা আমাদের জন্য গৌরবের: স্পিকার

আড়াইহাজারের পুরিন্দা কে এম সাদেকুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়ের ৫০ বছর পূর্তির অনুষ্ঠানে স্পিকার

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়ে জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরিন শারমিন চৌধুরি বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর একান্ত পরিশ্রম আর দেশের মানুষের মেধার কারণে বাংলাদেশ আজ  বিশ্ব দরবারে এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ এখন স্বল্প উন্নত দেশ নয়। এই মাসেই জাতিসংঘ ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ স্বল্প উন্নত দেশের কাতার থেকে বেরিয়ে উন্নয়নশীল দেশের পথে পা বাড়িয়েছে। এটা প্রতিটি বাঙালির জন্য গৌরবের একটি বিষয়।’ বৃহস্পতিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারের পুরিন্দা কে এম সাদেকুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়ের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে নবীণ-প্রবীণ ছাত্রছাত্রীদের পূর্নমিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।

বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা মাহমুদুর রহমানের স্ত্রী ফরজানা বেগমের সভাপতিত্বে রজতজয়ন্তি উৎসবে বক্তব্য রাখের স্থানীয় সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু, তার সহধর্মিনি তাহমিনা ইভা, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল ওয়াদুদুসহ অনেকে। 

স্পিকার শিরিন শারমিন চৌধুরি বলেন,‘দারিদ্র বিমোচনের লক্ষে সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করছে সরকার। দেশের দারিদ্র সীমা ৪৩ শতাংশ থেকে কমিয়ে এনে ২৩ শতাংশ করা হয়েছে। মানুষের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে অর্থনীতির চাকাকে গতিশীল করা হয়েছে। মানুষের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টির সুযোগ বৃদ্ধি করা হয়েছে। আগামী দিন সমগ্র বাংলাদেশে একশ’টি অর্থনৈতিক অঞ্চল (ইপিজেড) গড়ে তোলার পরিকল্পনা করা হয়েছে সেগুলো চালু করার হলে আরও  কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে। 

স্পিকার বলেন, এই আড়াইহাজারে সরকার দুটি অর্থনৈতিক জোন ইপিজেড নির্মাণের প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এই ইপিজেড গড়ে তোলা হলে এখানকার মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি পাবে।

তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, ‘তোমরা মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা করে দেশের হাল ধরবে। সরকার শিক্ষার্থীদের জন্য উপবৃত্তি চালু করেছে। এতে শিক্ষার্থীর হার বাড়ছে। সরকার বিদ্যুৎ ক্ষেত্রের উন্নয়নের জন্য সুনির্দৃষ্ট পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে দেশে ১৬ হাজার মেঘাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে।’

১৯৬৮ সালে প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়ের প্রথম ব্যাচের শিক্ষার্থী আব্দুল আউয়াল জানান, এই বিদ্যালয় থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশোনা করে অন্য স্কুল থেকে এসএসসি পরিক্ষা দিয়েছিলাম। র্দীঘ ৫০ বছর পর এই স্কুলে এসে খুবই ভালো লাগছে। বর্তমানে স্কুলের অবকাঠামো উন্নয়নসহ শিক্ষান মান ও শিক্ষার্থীর সংখ্যা দেখে ভালো লাগছে।