খুলনা কলেজিয়েট স্কুলের দুটি কেন্দ্র রয়েছে। একটি উত্তরাংশ, অপরটি পূর্ব। তারা একবার পূর্ব আরেকবার উত্তরাংশে যাচ্ছে। কেন্দ্রে প্রবেশের আগে পুলিশ তাদের ভোটার নম্বর পর্যবেক্ষণ করে জিজ্ঞেস করছেন- পূর্ব না উত্তর? কিন্তু তারা জানেন না, কোন অংশ তারা ভোট দেবেন। এতে করে বিড়ম্বনায় পড়েছেন ভোটাররা। অনেকে ভুল করে কেন্দ্রে ফোন নিয়ে এসেছেন। তাদের ফোন নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দিচ্ছে না পুলিশ।
গত ২৩ এপ্রিল থেকে দিনরাত এক করে মেয়র ও কাউন্সিলর পদপ্রার্থীরা ছুটেছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। কোথায় দেখা মেলেনি তাদের! বাসাবাড়ি, হাট বাজার, দোকানপাট, অলিগলি, রাজপথ, বস্তি থেকে দালানকোটা–সবখানে ছুটেছেন প্রার্থী ও তাদের কর্মীরা। দলীয় কর্মী-সমর্থকদের পাশাপাশি দলমত নির্বিশেষে সব শ্রেণির ভোটারের মন জয়ে তাদের প্রাণান্তকর চেষ্টা মহানগরীকে মাতিয়ে রেখেছিল গত তিন সপ্তাহ। স্লোগান-মিছিলের শহরে পরিণত হওয়া খুলনা নগরী ছেয়ে গেছে পোস্টার ব্যানারে।
এছাড়া, ৩১টি সাধারণ ওয়ার্ডে ১৪৮ জন ও ১০টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ৩৯ জন কাউন্সিলর প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নির্বাচনে ভোটার চার লাখ ৯৩ হাজার ৯২ জন। এরমধ্যে পুরুষ দুই লাখ ৪৮ হাজার ৯৮৫ ও নারী দুই লাখ ৪৪ হাজার ১০৭ জন।
ভোটকেন্দ্র ২৮৯টি। ভোটকক্ষ এক হাজার ৫৬১টি। আর অস্থায়ী ভোটকক্ষ ৫৫টি। কেন্দ্রগুলোর মধ্যে ২৩৪টিকে গুরুত্বপূর্ণ (ঝুঁকিপূর্ণ) হিসেবে চিহ্নিত করেছে নির্বাচন কমিশন। দুটি কেন্দ্র–মহানগরীর ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের সোনাপোতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের পিটিআই কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: